নলেন গুড় থেকে শুরু করে চকলেট, ভ্যানিলা, বাটারস্কচ আরও হরেক রকমের সুস্বাদে বিভোর ছিল ২২ ডিসেম্বরের কেক-সন্ধ্যা। নিজস্ব চিত্র।
একদিকে বর্ষবরণে উৎসবের আবহ। অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষে কেক-মরসুম। দু’টি বিষয় মনে রেখে প্রথম বার কলকাতায় সম্পন্ন হল ‘কেয়া শেঠ অদ্বিতীয়া কেক কার্নিভ্যাল ২০২১’। যার মূল উদ্যোক্তা কেয়া জানিয়েছেন, তাঁর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই কার্নিভ্যালে যে সব কেক নিলাম হয়েছে, তার গোটা অর্থই তিনি দান করেছেন শহরের দুঃস্থদের ত্রাণে। সেই লক্ষ্যেই তাঁর এই উদ্যোগ। তিনি চান সেই মুখগুলোয় মিষ্টিতে মিষ্টি হাসি ফুটুক।
কার্নিভালের বিচারক পদেও চমক ছিল! ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং অধুনা বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই রন্ধন-বিশেষজ্ঞ শর্মিষ্ঠা দে এবং বিপাশা মুখোপাধ্যায়। মোট ৩২ জন প্রতিযোগী ছিলেন প্রতিযোগিতায়। তবে বিচারকরা অনেক ক্ষেত্রে ফলাফল ঘোষণায় খানিক ইতস্তত বোধও করেছেন। কারণ, সেখানে নানা সাজে প্রত্যেকটি টেবিলে হাজির কেকের পসরা। নলেন গুড় থেকে শুরু করে চকলেট, ভ্যানিলা, বাটারস্কচ আরও হরেক রকমের সুস্বাদে বিভোর ছিল ২২ ডিসেম্বরের কেক-সন্ধ্যা। কাকে রেখে কাকে ছাড়বেন!
শেষ পর্যন্ত প্রথম হলেন পরমজিত কৌর চৌধুরি, দ্বিতীয় অনুরাধা কোনার এবং তৃতীয় মুনমুন সূত্রধর। যাঁদের তৈরি কেকের নিলাম-মূল্য ছিল যথাক্রমে ৮,০০০ টাকা, ৪,৫০০ টাকা এবং ৪,০০০ টাকা। প্রায় প্রত্যেকটি কেকই নিলামে তোলা হয়েছিল। সেই নিলামের গোটা মূল্য দুঃস্থদের মুখে হাসি ফোটাতে দান করেন কেয়া।