বাড়িতে নিজে হাতে রান্না করে খাবার খান সইফ আলি খান এবং করিনা কপূর খান। ছবি : সংগৃহীত।
বাড়িতে নিজে হাতে রান্না করে খাবার খান সইফ আলি খান এবং করিনা কপূর খান।
দু’জনেই বলিউডের তারকা অভিনেতা। আজ শুটিং, কাল প্রচার, পরশু কোনও অনুষ্ঠান—ব্যস্ততা লেগেই আছে। তার মধ্যেই দুই ছেলেকে নিয়ে গুছিয়ে সংসারও করেন সইফ-করিনা। সময় দেন দু’তরফের বর্ধিত পরিবারকে। উৎসব-অনুষ্ঠান হলেই সমাজমাধ্যমে ভেসে ওঠে পতৌদি এবং কপূর পরিবারের ফ্যামিলি ফোটোগ্রাফ। সেই সব সামলে তারকা দম্পতি বাড়িতে রান্নাও করছেন! করিনার দাবি, রান্না করাটা আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে এখন। আর সইফ ভালই রান্না করেন।
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকরের একটি বইয়ের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন করিনা। সেখানেই কথা বলছিলেন নিজের এবং পরিবারের খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস নিয়ে। করিনা বলেন, ‘‘বাড়িতে বানানো খাবারের মতো ভাল জিনিস হয় না। সারা দিনের পরিশ্রম আর ব্যস্ততা শেষে বাড়ি ফিরে ওই খাবারের তৃপ্তিই আলাদা। এখন তো আমি আর সইফ নিজেরাই রান্না করা শুরু করেছি।’’
দু’জনে যখন রান্নাঘরে ,তখন কে ভাল রাঁধেন? করিনা এগিয়ে রেখেছেন সইফকেই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বলিউডের তারকারা আকছার রেস্তরাঁর বাইরে ক্যামেরাবন্দি হন। তাই তারকাদের সঙ্গে বাড়িতে রান্না করা খাওয়াদাওয়ার বিষয়টা চট করে মেলানো যায় না। যদিও করিনা এবং সইফ দু’জনকেই বহু বার বলতে শোনা গিয়েছে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা খুব কড়া নিয়ম মানেন না। খাওয়াদাওয়া নিয়ে এক অনুষ্ঠানে সইফ এ-ও বলেছিলেন যে, তাঁর খাবার খুব সহজ-সরল। তিনি নিয়মিত ডাল-ভাত খান। খুব বেশি আমিষ খান না। বরং নানা রকম সব্জি খেতে ভালবাসেন। যার মধ্যে ঢেঁড়সের তরকারি এবং ভাজিও আছে। অন্য দিকে, করিনা বহু বার চাইনিজ় খাবার এবং বিরিয়ানির প্রতি নিজের প্রেমের কথা বলেছেন প্রকাশ্যে। তা ছাড়া ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার যখন, তখন তাঁদের খাওয়াদাওয়ারও খেয়াল রাখতে হয়। তারকা দম্পতির বাড়িতে রাঁধুনি আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু করিনা বলছেন, ‘‘আমরা নিজেরা রান্না করতে ভালবাসি।’’
কড়া ডায়েটের নিয়ম মানেন না সইফ-করিনা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দু’জনে যখন রান্নাঘরে, তখন কে ভাল রাঁধেন? করিনা বলেছেন, ‘‘সইফ অবশ্যই এক জন ভাল রাঁধুনি। এটা আমি বলতেই পারি। ও যে কোনও দিন যে কোনও রান্না অনেকের থেকে ভাল রাঁধতে পারবে। আমি তো ঠিক করে ডিমও সেদ্ধ করতে পারি না।’’ তবে রান্না যেমনই করুন, রান্না করাটা উপভোগ করেন দু’জনেই। করিনা বলেছেন, ‘‘রান্না করাটাকে আমরা আমাদের জীবনযাপনের অঙ্গ বানিয়ে নিয়েছি। আর এখন দেখছি, বিষয়টা ব্যক্তি হিসাবে আমাদের ভাবনাচিন্তার উপরেও প্রভাব ফেলছে।’’
করিনা বলেছেন, ‘‘রান্না করাটাকে আমরা আমাদের জীবনযাপনের অঙ্গ বানিয়ে নিয়েছি।” ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
করিনা এখন ৪৪। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে এই বয়সে রাশ টানতে বলেন চিকিৎসকেরা। পুষ্টিবিদেরা শর্করা-প্রোটিন-ভিটামিন মেপে খাওয়ার পরামর্শ দেন। অভিনেত্রী অবশ্য বলছেন, তিনি নিজের কমফোর্ট ফুড নিয়ে অত্যন্ত খুশি। তাঁর সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের খাবার হল খিচুড়ি। করিনা বলেছেন, ‘‘আমি যে কোনও দিন, যখন খুশি খিচুড়ি খেতে পারি। সপ্তাহে তিন দিনে এক বারও খিচুড়ি না খেলে আমার মন খিচুড়ি-খিচুড়ি করতে থাকে। আমার রাঁধুনি তো আমার জন্য একই খাবার রাঁধতে রাঁধতে বোর হয়ে গেছে। কিন্তু ওই যে এক বাটি খিচুড়ির উপর ছড়িয়ে দেওয়া বেশ খানিকটা ঘি— ওর আকর্ষণ আমি এড়াতে পারি না।’’