হোয়াটস্অ্যাপেই অর্ডার করলেই বাড়ি পৌঁছে যাবে জামাইষষ্ঠীর খাবার। প্রতীকী ছবি
হোয়াটসঅ্যাপ করলেই জামাই ষষ্ঠীর খাবার বাড়ি পৌঁছে দেবে পঞ্চায়েত দফতর। আগামী রবিবার জামাই ষষ্ঠী! বছরে এক বার শ্বশুর বাড়িতে জামাই আদরের দিন। ওইদিন জামাইবাবাজিদের ভূরিভোজ করাতে জোর ঝক্কি পোয়াতে হয় শ্বশুর-শ্বাশুড়িদের। এ বার সেই পরিশ্রম খানিকটা হলেও কমতে পারে পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে। কম খরচে জামাইষষ্ঠীতে ভুরিভোজের আয়োজন করেছে তাঁরা। মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করলেই হেঁশেলের ঝামেলা ছাড়াই জামাইদের রসনা তৃপ্তি দিতে পারবেন শ্বশুর-শাশুড়িরা। পঞ্চায়েত দফতরের অধীন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কমপ্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’-র (সিএডিসি) উদ্যোগে জামাইষষ্ঠীর দিন বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। বাংলার জামাইদের সস্তায় মহাভোজ করানোর সুযোগ থাকছে সরকারি উদ্যোগেই।
খাবার জোগান দেওয়ার জন্য তিনটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছে। ৮২৪০৬২২৩৪৬, ৯৭৩৪৩৯৯৯১৫ ও ৮১৭০৮৮৭৭৯৪ নম্বরে হোয়াটঅ্যাপ করে অর্ডার দিলেই জামাইষষ্ঠীতে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে পৌঁছে যাবে জামাই আপ্যায়নের খাবার। কলকাতা, বিধাননগর, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম ও বরাহনগর পুরসভা এলাকায় এই পরিষেবা দেবে সিএডিসি। ৫০০ টাকা মূল্যে দুটি পৃথক ‘থালা’র আয়োজন করা হয়েছে। একটি ‘থালায়’ দেওয়া হবে, কড়াইশুঁটি দেওয়া গন্ধরাজ ভাত, ইলিশ পাতুরি, ঝাড়গ্রামের বনমুরগির মাংস, আনারসের চাটনি ও শক্তিগড়ের ল্যাংচা। দ্বিতীয় ‘থালায়’ থাকবে, কড়াইশুঁটি দেওয়া গন্ধরাজ ভাত, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ঝাড়গ্রামের পাঁঠার মাংস, আনারসের চাটনি ও শক্তিগড়ের ল্যাংচা। দুটি ‘থালা’র মূল্যই ৫০০ টাকা করে।
ঝাড়গ্রামের বনমুরগি ও খাসির মাংস, ইলিশ পাতুরি ও গলদা চিংড়ি আলাদা করে পাওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তার জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে। শুক্রবার ৩ জুন পর্যন্ত খাবারের অর্ডার দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। আর খাবারের অর্ডার বাতিল করলে তা ২৪ ঘণ্টা আগে হোয়াটসঅ্যাপ জানাতে হবে। অনলাইনে টাকা দেওযার পাশাপাশি ক্যাশ অন ডেলিভারির সুযোগও থাকছে বলে জানানো হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।