রাজবেশে...

জামাইষষ্ঠীতে সাবেকিয়ানাই সম্বল

ধুতির সাজে রাজ চক্রবর্তী, ছবি: সোমনাথ রায়; মেকআপ: নবীন দাস; স্টাইলিস্ট: নীল সাহা; ধুতি-পাঞ্জাবি: আনন্দ, রাসেল স্ট্রিট; শূন্য, শর্বরী দত্ত হিন্দুস্থান পার্ক; ফুড পার্টনার: ৬, বালিগঞ্জ প্লেস, বালিগঞ্জধুতির সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক চিরকালীন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ধুতির কায়দা। কখনও ফ্যাশনে চওড়া ধাক্কা পাড়ের চল বেশি, আবার কখনও সনাতনী জলচুড়ি পাড় বা খুব বেশি হলে দু’ইঞ্চি মুগার পাড়ের চাহিদা।

Advertisement

ঈপ্সিতা বসু 

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share:

ধুতির সাজে রাজ চক্রবর্তী

ধুতির সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক চিরকালীন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ধুতির কায়দা। কখনও ফ্যাশনে চওড়া ধাক্কা পাড়ের চল বেশি, আবার কখনও সনাতনী জলচুড়ি পাড় বা খুব বেশি হলে দু’ইঞ্চি মুগার পাড়ের চাহিদা। পরার স্টাইলেও এসেছে পরিবর্তন। তবে যতই বদল আসুক না কেন, উৎসবে আজও পুরুষের আভিজাত্যের দোসর হয়ে ওঠে ধুতি। গিলে করা পাঞ্জাবি আর চুনট করা ধুতির বৈভব আজও বাঙালিয়ানায় শাশ্বত।
আজ জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের সঙ্গে ধুতির একটা মিষ্টি সম্পর্ক আছে। এই শুভ দিনে ধুতির তিন রকম সাজে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ‘‘বাঙালির বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোয় আমি ধুতি-পাঞ্জাবি পরতেই ভালবাসি। সেখানে সাবেকিয়ানা ও আধুনিকতা দুইয়েরই মেলবন্ধন ঘটে। সাদা রঙের ধুতির পাশাপাশি আমার কাছে অনেক রঙিন ধুতিও রয়েছে,’’ বললেন রাজ।
এ প্রসঙ্গেই বলি, ধুতির রং এখন আর সাদার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রায় সব রঙেরই ধুতি পাওয়া যায়। আর সঙ্গে রয়েছে নানা ডিজ়াইনের পাড়। তবে জায়গা বিশেষে এর নাম এবং পরার ধরন ভিন্ন ভিন্ন রকম। উত্তর ভারতে ধোতি, তামিলনাড়ুতে ভাইত্তি, গুজরাতে ধোতিয়ু, মহারাষ্ট্রে ধোতর, পঞ্জাবে চাদরা, কর্ণাটকে পাঞ্চা... স্টাইলের প্রসঙ্গে রাজের মন্তব্য, ‘‘আমার ওয়ার্ড্রোবে ধুতি-পাঞ্জাবির দারুণ কালেকশন আর আমি নিজেই অনেক রকম স্টাইলে ধুতি পরতে পারি।’’
পরার জটিলতার কারণেই ধুতির ব্যবহার কমেছে। অথচ ধুতির আভিজাত্য অন্য পোশাকে আসা সম্ভব নয়। তাই প্রচলন হয়েছে ইলাস্টিক দেওয়া রেডিমেড ধুতির। যা পরতে না আছে কষ্ট, না আছে খুলে যাওয়ার ভয়।
কাপড় নির্বাচনে ধুতির জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক ও উপযোগী কাপড় হল সুতি। তবে এখন খদ্দর, তসর, পলিয়েস্টার আর সিল্কের কাপড়ে বাহারি কাজ প্রাধান্য পেয়েছে। কুঁচির ভাঁজে লেসের ব্যবহার বা হাতের কাজের অপরূপ কারুকাজ ধুতিতে এনেছে আধুনিকতার নতুন মাত্রা।
ধুতি-পাঞ্জাবি তো আজকের বিশেষ সাজ, কিন্তু বাকি অনুষ্ঠান? ‘‘গত বছর অনেক দেরি করেই পৌঁছেছিলাম, তাই জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান সে ভাবে হয়নি। শনিবার আমি নিরামিষ খাই। তাই আগামিকালও চলবে,’’ বলছেন পরিচালক। আর খাদ্যরসিক রাজের স্বীকারোক্তি, ‘‘পোস্তর বড়া আজকের বিশেষ পদ হলেও কাল নানা রকম মাছের পদ থাকবেই। যে কোনও মাছের কাঁটা সমেত আমি খেয়ে ফেলি। আমার শ্বশুরবাড়ি বর্ধমান হওয়ায় মাছের টক এখন দারুণ লাগে। সঙ্গে থাকছে বর্ধমানের বিশেষ লাল মিষ্টি’’ জামাইসুলভ লাজুক হাসি রাজের মুখে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement