সদা সতর্ক ও সজাগ থাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পেট্রল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামে নাজেহাল মধ্যবিত্ত। পেট্রোপণ্যের অগ্নিমূল্য বৃদ্ধির আঁচ এসে পড়েছে মধ্যবিত্তের ভাঁড়ারেও। পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে দাম বেড়েছে শাকসব্জি, মশলাপাতিরও। আর এর মধ্যেই কিছু কিছু পেট্রল পাম্পের দৌলতে আপনি টাকা দিয়েও সঠিক পরিমাণ তেল পাচ্ছেন না। এই গোটা বিষয়টি হয়তো হাতের কারসাজিতে আপনার চোখের সামনেই ঘটে যাচ্ছে, অথচ আপনি ধরতে পারছেন না। তবে আপনি সজাগ থাকলে এই চুরি আটকাতে পারেন।
পেট্রল পাম্পগুলির তেল চুরি ঠেকাতে কোন বিষয়ে বাড়তি নজর দেবেন?
ছবি: সংগৃহীত
১) আপনি হয়তো পেট্রল পাম্পে গিয়ে ৫০০ টাকার তেল ভরে দিতে বলেছেন। কিন্তু পাম্পের কর্মী না শোনার ভান করে ২০০ টাকার তেল ভরে দিলেন। আপনি সেটি লক্ষ করে তাঁকে জানালে তিনি আরও ৩০০ টাকার তেল ভরতে শুরু করলেন। কিন্তু এখানেই লুকিয়ে রয়েছে আসল কারসাজি। আপনার সঙ্গে এমনটি ঘটলে পাম্পের কর্মীকে বলুন, আগে ২০০ টাকার তেল ভরা শেষ করে নতুন করে ৩০০ টাকার তেল ভরে দিতে।
২) অনেক পেট্রল পাম্পে তেল ভরার জন্য লম্বা পাইপ ব্যবহার করা হয়। তবে মিটারে তেল ভরে দেওয়া গিয়েছে দেখালেও লম্বা পাইপে কিছুটা তেল থেকেই যায়। এতে প্রতি ১ লিটারে ৪০-৫০ মিলিমিটার তেল লাভ করে পেট্রল পাম্পগুলি।
৩) কোনও পেট্রল পাম্পে তেল ভরতে গিয়ে যদি দেখেন যে পাম্পের কর্মী ফিলিং পাইপের সুইচ বার বার করে নামাচ্ছেন, তা হলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হন। এ রকম হতে থাকলে আপনি ন্যায্য মূল্যের তেল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।
৪) বেশ কিছু পেট্রল পাম্পে অনেক সময় মিটারের সঙ্গে ইলেকট্রনিক চিপ লাগানো থাকে। এতে মিটারের রিডিং ইচ্ছে মতো বাড়িয়ে দেওয়া যায়। অথচ সমপরিমাণ তেল আপনার গাড়ির ট্যাঙ্কে ভরে না। গাড়ির তেল ভরতে গিয়ে তাই মনে সন্দেহ দানা বাঁধলে অতি অবশ্যই এই বিষয়ে অভিযোগ করুন।
৫) পেট্রল পাম্পে অনেক সময় পেট্রলের সঙ্গে পেট্রলেরই উপজাত দ্রব্য ন্যাপথা মিশিয়ে দেওয়া হয়। ন্যাপথা এবং পেট্রলের ঘনত্ব একই হওয়ায় সহজেই তা ধরা যায় না।