চড়া দাম দিয়ে আপনিও থলি ভর্তি করে ভেজাল গুড় নিয়ে আনছেন না তো? ছবি: শাটারস্টক।
শীতকাল মানেই খেজুর গুড়ের চাহিদা ঘরে ঘরে। পিঠেপুলি হোক বা পায়েস, সন্দেশ হোক বা নাড়ু— সবেতেই এই গুড়ের অবাধ যাতায়াত। শীতের জলখাবারে রুটি, লুচি বা পরোটার সঙ্গেও খেজুর গুড়ের সঙ্গত মন্দ লাগে না। তাই শীত পড়লেই বাজারে বাজারে গুড়ের দরদাম শুরু করে ভোজনরসিক বাঙালি।
তবে এখন খাঁটি খেজুর গুড় পাওয়া মুশকিল। বাজারে ভেজাল গুড়ের ছড়াছড়ি। বেশি মিষ্টি করার জন্য গুড়ে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম চিনি, কালচে রং আনতে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রং। সেই গুড়ের স্বাদ থাকে না আর গন্ধও পাওয়া যায় না! চড়া দাম দিয়ে আপনিও থলি ভর্তি করে ভেজাল গুড় নিয়ে আনছেন না তো?
গুড়ে আদৌ কোনও ভেজাল আছে কি না, তা বুঝবেন কী করে? জেনে নিন খাঁটি গুড় পরীক্ষা করার কয়েকটি সহজ কৌশল।
১) গুড় কেনার সময়ে একটু চেখে দেখুন। যদি নোনতা স্বাদ পান, তা হলে বুঝবেন এই গুড়টি মোটেই খাঁটি নয়। এতে কিছু ভেজাল মেশানো রয়েছে।
২) গুড় কেনার সময়ে গুড়ের ধারটা দুই আঙুলের মাঝে রেখে একটু চেপে দেখুন। যদি নরম লাগে, বুঝবেন গুড়টি ভাল মানের নয়। শক্ত গুড় না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
গুড় দেখে যদি অতিরিক্ত চকচকে মনে হয়, তা হলে বুঝবেন, গুড়ে প্রচুর মাত্রায় চিনি মেশানো রয়েছে।
৩) যদি গুড় একটু তেতো স্বাদের হয়, তবে বুঝতে হবে গুড়টি বহু ক্ষণ ধরে জ্বাল দেওয়া হয়েছে। তাই একটু তিতকুটে স্বাদ নিয়েছে। সেই গুড় দিয়ে মিষ্টি বানালে স্বাদ বিগড়ে যেতে পারে।
৪) গুড় দেখে যদি অতিরিক্ত চকচকে মনে হয়, তা হলে বুঝবেন, গুড়ে প্রচুর মাত্রায় চিনি মেশানো রয়েছে।
৫) সাধারণত গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। হলদেটে রঙের গুড় দেখলেই বুঝতে হবে, তাতে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। সেই গুড় কিনলে কিন্তু ঠকতে হবে। গুড় যত কালচে হবে, ততই খাঁটি সেই গুড়।