বিভিন্ন কৌশলে বাঁচান রান্নার গ্যাস। ছবি: শাটারস্টক।
গৃহস্থের কপালে ইতিমধ্যেই ভাঁজ বাড়িয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। সংসার খরচের পাল্লায় রান্নার গ্যাসের জন্য বরাদ্দ গুণতে হচ্ছে বেশ মোটা টাকার। ভর্তুকি বাদ দিয়েও মূল অঙ্কটা খুব কম নয়। তা ছা়ড়া ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ঢোকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে। কিন্তু সিলিন্ডার কেনার সময়ে এককালীন পুরো টাকাটা বার করতে হয় গৃহস্থকেই। ইতিমধ্যেই অনেক নিম্ন-মধ্যবিত্তর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে মহার্ঘ জ্বালানি।
আর মনে রাখতে হবে, এলপিজি গ্যাসের সুবিধা পাওয়াটাই শেষ কথা নয়, প্রতি মাসে সিলিন্ডার কেনাও কিন্তু বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রতি মাসে ভর্তুকির মুখ চেয়ে বসে না থেকে একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই কিন্তু অনেকটা গ্যাস সাশ্রয় করা যায়। বরং এতে একটা সিলিন্ডার একটু বেশি দিন চালানো যায় ও টাকা বাঁচে।
গ্যাস বাঁচানো নিয়ে অনেকেরই কিছু ভুল ধারণা আছে। তাতে সিলিন্ডার বাঁচে কম, শ্রম বাড়ে বেশি। বরং একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সিলিন্ডার খরচ করলে রান্নার গ্যাস বাঁচাতে পারেন অনেকটাই। ভাবছেন কী ভাবে তা সম্ভব? রইল টিপ্স।
আরও পড়ুন: এ সব উদ্ভাবন সহজ করে দিয়েছে আমাদের জীবন, আপনি এখনও ব্যবহার করেননি!
রান্নার গ্যাসে যে পাত্রই বসান না কেন, তার মুখ ঢাকার বন্দোবস্ত থাকলে গ্যাস খরচ অনেকটা বাঁচে। আজকাল বাজারে নন স্টিকের কড়াই, হাঁড়ি সবই মুখ ঢাকা কিনতে পাওয়া যায়। প্রেসারকুকার জাতীয় পাত্র রান্নায় কাজে ব্যাবহহৃত হলে কমবে গ্যাস খরচ। এ ক্ষেত্রে তাপে নয়, খাবার সেদ্ধ হবে ভাপে। গ্যাসের আঁচ কমিয়ে রাখুন। এতে খাবার সেদ্ধও হবে ভাল। আপনার গ্যাস খরচও বাঁচবে। যে পরিমাণের খাবার রান্না করছেন তার জন্য কোন ধরনের পাত্র জুতসই তা আগে থেকে ভেবে নিন। ভুল আকারের পাত্রে রান্না চাপালে গ্যাস খরচ বাড়বে। নিয়মিত গ্যাসের বার্নার পরিস্কার করুন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর লোক ডেকে গ্যাসের পাইপ পরিষ্কার করান।
আরও পড়ুন: সিঁড়ি ভাঙতে বা অল্প পরিশ্রমেই হাঁফ ধরছে? তলে তলে এই অসুখের কবলে পড়েননি তো!
গ্যাস বাঁচে এমন পাত্রে রান্না করুন।
রেগুলেটারটিকেও বদলাতে হবে দুই বছর অন্তর। পাত্রের তলদেশ চ্যাপ্টা হলে ভাল হয়। গোলচে ধরনের পাত্রের ক্ষেত্রে গ্যাস খরচ বেড়ে যায়। গ্যাসের ছোট বার্নারটি ব্যবহার করলে ৬ থেকে ১০ শতাংশ কম জ্বালানি খরচ কম হয়। চেষ্টা করুন ছোট বার্নারটিই বেশি ব্যবহার করতে। রান্নায় বেশি পরিমাণে জল ব্যবহার করুন। তাতে খাবার তৈরি হতে সময় কম লাগবে। গ্যাসও সাশ্রয় হবে। যে কোনও ঠান্ডা জমাট বাধা খাদ্যবস্তু ফ্রিজ থেকে নামিয়েই গ্যাসে দেবেন না। ওই খাদ্যবস্তুটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার সময় দিন।