কী ভাবে কমাবেন রান্নার গ্যাসের অপচয়? ছবি: সংগৃহীত।
সংসার খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মটন কষা কিংবা পায়েস বানাতে গেলে এখন দশ বার ভাবতে হয়। অনেকেই এখন খাবার গরম করেন মাইক্রোওয়েভে। চা তৈরি করেন ইলেকট্রিক কেট্লে। মাঝেমাঝেই রান্না সারেন ইনডাকশন কুক টপে। তবে এতে আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে কি? বিদ্যুতের বিলও তো নেহাত কম আসছে না! এক দিক বাঁচাতে গিয়ে অন্য দিকের খরচ বাড়ছে। তার চেয়ে বরং জেনে নিন গ্যাস কম খরচ করার কিছু সহজ উপায়।
১) রোজকার রান্না করার সময় আগুনের আঁচ মাঝারি রাখুন। অতিরিক্ত আঁচে রান্না করতে গেলে আগুন পাত্রের তল ছাড়িয়ে আশপাশ দিয়ে বার হয়ে যায়। ফলে গ্যাসের অপচয় হয়।
২) গ্যাসের খরচ বাঁচাতে নিয়ম করে বার্নার সাফ করুন। রান্নার গ্যাসের আগুনের রং নীল হওয়াই বাঞ্ছনীয়। লাল, হলুদ কিংবা কমলা রঙের আগুন দেখলে বুঝবেন, গ্যাসের দহন যথাযথ ভাবে হচ্ছে না। বার্নারে ময়লা থাকলে এমন হয়।
গ্যাসের খরচ বাঁচাতে নিয়ম করে বার্নার সাফ করুন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) পাত্র ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। যে কোনও পাত্রের ক্ষেত্রেই ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা গ্যাস বাঁচে। পাশাপাশি, সাধারণ বাসনের পরিবর্তে যত বেশি সম্ভব প্রেশার কুকার ব্যবহার করুন। গ্যাসের অপচয় কম হবে।
৪) রান্নায় কতটুকু জল দেবেন, তা-ও মেপে রাখার চেষ্টা করুন আগে থেকে। চাল, ডাল রান্নার আগে জলে বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন, এতে গ্যাস ও সময় দুই-ই বাঁচবে।
৫) ফ্রিজ থেকে শাক-সব্জি বা যে কোনও খাবার বার করে বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অন্তত আধ ঘণ্টা রেখে দিন। ঠান্ডা ভাব একদম চলে গেলে রান্না শুরু করবেন। কারণ, ফ্রিজের ঠান্ডা কাটতে গ্যাস অনেক বেশি খরচ হয়।