আপনার কি মাঝে মাঝেই রাতে পেশিতে টান ধরে ঘুম ভেঙে যায়? সকালে উঠে পা সোজা করতে পারেন না? পেশিতে টান ধরার সমস্যায় প্রায় সকলেই ভোগেন। ডিহাইড্রেশনের কারণেই মূলত পেশি টান ধরে। জেনে নিন পেশিতে টান ধরলে কী করবেন।
কী ভাবে ধরে পেশিতে টান?
মানব শরীরে পেশি হল দু’ধরনের। (১) যারা কি না ইচ্ছা মতো চলে, যেমন হৃত্পিণ্ড। (২) ঐচ্ছিক পেশি। যাকে আমরা নিজেদের মতো করে চালাতে পারি। ঐচ্ছিক পেশির সহায়তায় আমরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। এই পেশিগুলো সাধারণত সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হয়। কিন্তু কিছু সময় পেশিগুলো স্থায়ী ভাবে সঙ্কুচিত হয়ে থাকে প্রসারিত হতে পারে না। একেই বলে পেশিতে টান ধরে।
যাঁরা ক্রনিক কোনও রোগে ভুগছেন বা যাঁদের চোটআঘাতজনিত সমস্যা আছে তাঁদের পেশিতে টান লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু যাঁদের এই সমস্যা নেই তাঁদেরও কিছু কারণে লাগতে পারে পেশিতে টান।
কী কী কারণে পেশিতে টান ধরে?
(১) শরীরের ক্ষমতা যতটা তার থেকে যদি বেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয় তা হলে পেশির মধ্যে জমা হয় ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যা আমাদের পেশিকে সঙ্কুচিত করে রাখে প্রসারিত হতে দেয় না।
(২) আমাদের শরীর নব্বুই শতাংশই তরলে পূর্ণ। শরীরে তরলের পরিমাণ যখন সঠিক থাকে অঙ্গগুলিও ঠিক মতো কাজ করে। জলের পরিমাণ কম হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তখনই পেশির সঙ্কোচন দেখা যায়।
(৩) সুস্থ থাকার জন্য ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো বিভিন্ন মিনারেলস বা খনিজ পদার্থের প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন বি-৬, বি-১২, বি-সি-র মতো বিভিন্ন ভিটামিনের। শারীরবৃত্তীয় কারণে যদি এই সব ভিটামিন বা মিনারেলের তারতম্য হয় তবে পেশিতে টান লাগতে পারে।
কী উপায় এড়ানো যাবে এই সমস্যা?
(১) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
(২) সারাদিনের আহার সময় মতো গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যালেন্স ফুড খাওয়া খুব জরুরী।
(৩) এক নাগাড়ে কাজ না করে মাঝে মধ্যে সাময়িক বিরতি নিতে হবে।
(৪) ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে।
(৫) গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়। বারবার পেশিতে টান ধরলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই সব উপায়গুলিকে অনুসরণ করলেই মিলবে সাময়িক স্বস্তি।