জীবনে এক বারের জন্যেও লঙ্কার ঝালে নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা হয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ছবি: প্রতীকী
শীতের সন্ধ্যায় চানাচুর আর সর্ষের তেল দিয়ে মুড়ি মেখেছেন, সঙ্গে একটু কাঁচালঙ্কা না হলে কি চলে? কিন্তু যেই না কাঁচালঙ্কায় কামড় বসালেন, অমনি ঝালের গুঁতোয় প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার উপক্রম। যতই ঝাল খাওয়ার অভ্যাস থাকুক, জীবনে এক বারের জন্যেও লঙ্কার ঝালে নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা হয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে ঝাল কিন্তু কোনও স্বাদ নয়, এটি আসলে এক ধরনের প্রদাহজনিত অনুভূতি। ঝাল লাগলে তৎক্ষণাৎ জল খেয়ে নেওয়াই দস্তুর। কিন্তু তাতেও ঝাল কমতে সময় লেগে যায় অনেক ক্ষণ। বরং অন্য কিছু টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
১. টক দই: ঢক ঢক করে খানিকটা জল খেয়ে নেওয়ার বদলে এক চামচ টক দই খেয়ে নিতে পারেন। দই মুখের ভিতরে ও জিভের উপর একটা পাতলা আস্তরণ তৈরি করে। ফলে জিভ ও গালের ত্বকের উপরের স্তরে যে কোষগুলিতে প্রদাহ হচ্ছে সেগুলি কিছুটা আরাম পায়। কমে আসে জ্বালা।
২. দুধ: শুকনো লঙ্কার ঝাল কমাতে বেশ কার্যকর দুধ। শুকনো লঙ্কায় ‘ক্যাপসাইসিন’ নামের একটি উপাদান থাকে। এই ক্যাপসাইসিনের জন্যই লাগে ঝাল। অন্য দিকে, দুধে থাকে ‘ক্যাসিন’ নামের একটি প্রোটিন। এই ক্যাসিন লঙ্কার ক্যাপসাইসিনের তীব্রতাকে প্রশমিত করে। তাই খুব দ্রুত অস্বস্তি কমে যায়। তবে ভিগান দুধ খেলে কিন্তু কোনও কাজ হবে না। কারণ তাতে ক্যাসিন থাকে না। তাই যাঁরা ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্ট কিংবা যাঁদের অম্বলের সমস্যা আছে, তাঁদের দুধ না খাওয়াই ভাল।
শুকনো লঙ্কার ঝাল কমাতে বেশ কার্যকর দুধ। ছবি: প্রতীকী
৩. চিনি: শর্করার মাত্রা বেশি হয়ে গেলে তা মুখগহ্বরে অন্য যে কোনও অনুভূতিকে কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে ‘সুক্রোজ’ জাতীয় শর্করা ঝাল কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। প্রয়োজনে দুধের সঙ্গে চিনি মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
৪. মদ: রাসায়নিক বিক্রিয়ার কথা চিন্তা করলে অধিকাংশ অ্যালকোহলই ক্যাপসাইসিনকে ভেঙে দেয়। কিন্তু মদে অ্যালকোহল ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। ফলে নামমাত্র আরাম দিলেও খুব বেশি ঝাল লাগলে তার সুরাহা মদ খেয়ে সম্ভব নয়।