ঘামের যম কোনগুলি? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর পর আবহাওয়ায় শিরশিরে ভাব এলেও ঘাম হচ্ছে। রোদে বেরোলে কিংবা ভিড় বাস-মেট্রোতে উঠলে বাহুমূলের ঘাম রোখা সম্ভব নয়। হাত তুলে কারও সামনে দাঁড়াতে অস্বস্তি হয়। সাদা কিংবা হালকা রঙের পোশাক পরলে হলদেটে ছোপ পড়ে যায় তাতে। শীতকালে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নিয়মিত স্নান করেও অনেকে এই সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে স্নান করার পাশাপাশি যদি কয়েকটি টোটকা জেনে রাখেন, তা হলে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
১) টি ট্রি অয়েল
স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। দেহে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ঘামের দুর্গন্ধও কমে। বাড়ি ফিরে যদি স্নান করতে ইচ্ছে না করে সে ক্ষেত্রে মগে জল নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা অয়েল মিশিয়ে নিন। তার পর সেই জলে ছোট তোয়ালে ভিজিয়ে বাহুমূল মুছেও নিতে পারেন।
২) অ্যালো ভেরা জেল
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বাহুমূল পরিষ্কার করে অ্যালো ভেরা জেলের পরত মেখে নিতে পারেন। অ্যালো ভেরার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ ব্যাক্টেরিয়ার দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) চারকোল
প্রাকৃতিক ডিয়োডর্যান্ট হিসাবে দারুণ কাজ করে সক্রিয় চারকোল। এই উপাদানটি বাহুমূলের আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টি-এর মধ্যে থাকা ট্যানিন, ঘাম এবং ঘামের দুর্গন্ধ— দুটোই নিয়ন্ত্রণ করবে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) গ্রিন টি
গ্রিন টি খাওয়ার পর টি ব্যাগটি ফেলে না দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। সারা দিন পর কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ওই টি-ব্যাগ বাহুমূলের তলায় রাখুন বেশ কিছু ক্ষণ। গ্রিন টি-এর মধ্যে থাকা ট্যানিন, ঘাম এবং ঘামের দুর্গন্ধ— দুটোই নিয়ন্ত্রণ করবে।
৫) লেবুর টুকরো
স্নান করার আধ ঘণ্টা আগে পাতিলেবু কিংবা কমলালেবুর টুকরো নিয়ে বাহুমূলে ঘষে নিন। লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে। বাহুমূলের ত্বকের কালচে ভাবও দূর করে।