এ বার হেঁশেলের উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ভেষজ রং। ছবি: সংগৃহীত
রঙের উত্সবে কচি-কাঁচাদের উৎসাহ আর আনন্দই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু লাল, নীল, সবুজ রঙে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ শিশুদের কোমল ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তা হলে উপায়? বাজারে এখন ভেষজ রং কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণ রঙের তুলনায় ভেষজ আবিরের দামও হয় আকাশছোঁয়া। দাম দিয়ে কিনলেই তো আর হল না, ভেষজ রং হিসাবে যেগুলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সেগুলি আদৌ ভেষজ উপাদান দিয়েই তৈরি হচ্ছে কি? এই প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া মুশকিল! তাই এর বিকল্প হিসাবে এ বার হেঁশেলের উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ভেষজ রং। জেনে নিন কোন রং কী ভাবে বানাবেন।
সবুজ রং: পালং শাক বেটে নিন। এ বার সেই মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে নিয়ে গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তরল মিশ্রণটি বড় ট্রে-তে রেখে এক কাপ কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে মিশিয়ে নিন। কোনও মণ্ড যেন না তৈরি হয়, সে দিকে নজর রাখুন। এ বার মিশ্রণটি রোদে শুকিয়ে হাতে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সবুজ রং।
গোলাপি: বিটের রস তৈরি করে ভাল করে ছেঁকে নিন। এক কাপ বিটের রস নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ গোলাপ জল দিন। তরল মিশ্রণটির সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার বা চালের গুঁড়ো খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি রোদে কিংবা মাইক্রোওয়েভে শুকিয়ে নিন। এ বার হাত দিয়ে ভাল গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গোলাপি রং। খুব সূক্ষ্ম গুঁড়ো চাইলে মিশ্রণটি মিক্সিতেও ঘুরিয়ে নিতে পারেন।
প্রতীকী ছবি
কমলা রং: কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই রং। কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এ বার কর্নফ্লাওয়ার আর সামান্য হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কমলা রং।
হলুদ: হলুদ আর বেসন মজুত থাকে সব বাঙালির হেঁশেলেই। চার ভাগ বেসন ও এক ভাগ হলুদ ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই রং। বেসন না থাকলে চালের গুঁড়োর সঙ্গেও মেশানো যেতে পারে হলুদ।