পায়ের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই মিলবে কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
মোজা পরলেই পায়ে দুর্গন্ধ হয়? অফিসে পাশে বসে থাকা সহকর্মী আপনার পায়ের দুর্গন্ধের ঠেলায় তিতিবিরক্ত? এ কারণে অনেককেই লজ্জায় পড়তে হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলেও কিন্তু অনেকে এই সমস্যায় পড়েন। পায়ে থাকা ঘামের সঙ্গে মোজার ব্যাক্টেরিয়া মিশে গিয়েই তৈরি হয় বিকট গন্ধ। এ ছাড়া, কোনও ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে, ডায়াবিটিস কিংবা থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলেও পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। ডায়াবিটিস কিংবা কিডনির অসুখ হলে ভিনিগারের মতো গন্ধ বেরোয় পা থেকে। কী ভাবে এই দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন?
১) ঘামের গন্ধ থেকে বাঁচতে সুতির মোজা ব্যবহার করুন। সিন্থেটিক মোজা পরলে ঘাম বেশি হয়, সমস্যা আরও বাড়ে।
২) ডায়েটে বদল আনুন। খুব মশলাদার খাবার বিপাকক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ঘন ঘন বদহজম হলেও ঘামে বিশ্রী গন্ধ হয়।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে রোজ সময় করে ঈষদুষ্ণ নুন-জলে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো। ছবি: শাটারস্টক।
৩) চা-কফির নেশা থাকলে এড়িয়ে চলুন। যে কোনও উত্তেজক পানীয় শরীরে হরমোন নির্গমনে সাহায্য করে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তাতে স্নায়ু উত্তেজিত হয় পরোক্ষে। সহজেই ঘাম হয়।
৪) জুতো মাঝেমাঝেই রোদে দিন। জুতোর ভিতরে আলো-হাওয়া পৌঁছলে ছত্রাক, ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ কমে। একই মোজা পর পর দু’দিন পরবেন না।
৫) রোজ সময় করে ঈষদুষ্ণ নুন-জলে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো। নুন ছত্রাক দূর করতে সক্ষম। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নুন-জলের জুড়ি নেই।