প্রতিদিন নাইট শিফটের ফলে শরীরে থাবা বসাতে পারে মারণ রোগ। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে প্রতি দিন নাইট শিফট। করতে করতে ধাতস্থও হয়ে গিয়েছেন যেন অনেকটা। ভাবছেন শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সওয়াবেন, তাহাই সয়। তা হলে জেনে রাখুন, আপনি ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আপনার চিন্তার ফাঁক গলেই প্রতি দিন মারণ রোগ বাসা বাঁধছে আপনার শরীরে। যার জের টানতে হবে অনেক দিন। কী ভাবে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রত্যেক মানুষের শরীরেই থাকে বায়োলজিকাল ক্লক। এই ঘড়ি আমাদের খাওয়া ঘুম সমস্তটার সময় নির্ধারণ করে। তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারাটাই সুস্থ জীবনের বীজমন্ত্র। আর হাতেগোনা কয়েক জনকে বাদ দিলে বেশির ভাগ মানুষেরই বায়োলজিক্যাল ক্লক দিন থেকে রাতের দিকে যায়। হঠাৎ করে বায়োলজিকাল ক্লকটাকে ঘুরিয়ে দিলে ঘুমের সময় কমে যেতে পারে, এর ফল, আয়ু কমে আসা।
এই একই কারণে হতে পারে নানা ধরনে অসুখ। চিকিৎসকেরা বলছেন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটির মতো রোগ শরীরে সহজেই বাসা বাধে। ক্রমেই বাড়তে থাকে হার্টের অসুখের আশঙ্কা। ক্লান্তি ভাবও গ্রাস করতে থাকে শরীরকে। তার ছাপ চোখেমুখে পড়তে বাধ্য।
আরও খবর: সদ্যোজাত পেটে ব্যথায় ভুগছে! মাতৃদুগ্ধেই রয়েছে শিশুর রোগের ওষুধ
আরও খবর: এই গরমে যত্ন নিন মায়েরা
কিন্তু আপনার অজুহাত অফিস শুনবে কেন? কাজেই একান্ত যদি নাইট শিফট এড়ানো না যায়, নিজের জন্য চাই বাড়তি যত্ন। এখানে রইল সেই ফিরিস্তি।
সুস্থ থাকতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১) প্রতি দিন একই সময়ে খান, তা হলে বডি ক্লক ধীরে ধীরে আপনার নিয়মের সঙ্গে ধীরে ধীরে ধাতস্থ হবে।
২) মদ, সিগারেট জীবন থেকে বাদ দিন। যদি অনিয়ম করতেই হয়, মাসে একটি ছুটির দিনই বরাদ্দ থাক তার জন্য।
৩) চা, কফি কমিয়ে সেই জায়গায় জল এবং ফলের পরিমাণ বাড়ান।
৪) কখনওই খালি পেটে শুতে যাবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে খিদে না পেলে, শারীরিক সমস্যা না থাকলে দুধ খান। দুধ ভাল ঘুমের দাওয়াই।
৫) শরীর তরতাজা রাখতে সঙ্গে রাখুন ড্রাই ফ্রুট, বাদামজাতীয় খাবার।
৬) শুতে যাওয়ার আগে উষ্ণ জলে চান করুন। হালকা গান চালান। নিশ্চিত থাকুন কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা আপনার ঘুমে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।