কী ভাবে বশে রাখবেন রাগ? ছবি: শাটারস্টক।
কখনও বসের উপর কখনও আবার সহকর্মীর উপর অল্পেই মাথাগরম হয়ে যায়? কখনও আবার পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে, রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না? কাজের ক্ষেত্রে রাগারাগি হতেই পারে। তবে সেই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আখেরে কিন্তু ক্ষতি আপনারই। রাগ হলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়, কাজে মন বসে না, কাজের গুণগত মানও কমে যায়। তাই রাগকে বাগে আনা ভীষণ জরুরি। জেনে নিন, খুব রাগ হলেও কী ভাবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?
১) রাগের মাথায় কোনও কথপোকথন বাড়ানোর দরকার নেই। যদি দেখেন, কারও সঙ্গে কথপোকথনের সময় রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না, তা হলে সেই কথপোকথন সেখানেই বন্ধ করে দিন। সামনের জন কথা থামাতে না চাইলেও আপনি চুপ করে যান।
২) ঠিক কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে রেগে যাচ্ছেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। ‘ট্রিগার পয়েন্ট’গুলি জানা থাকলে রাগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। ঠিক কোন প্রসঙ্গে কথা বললে রেগে যাচ্ছেন, কার সঙ্গে কথা বললে বেশি রাগ হচ্ছে, সেই ‘ট্রিগার পয়েন্ট’গুলি এড়িয়ে চলুন।
৩) যদি দেখেন, চড়চড় করে বাড়ছে রাগের পারদ, তা হলে বরং কয়েক চক্কর হেঁটে আসুন। অফিসের বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। জোরে জোরে শ্বাস নিন। এই সব করলে মাথা ঠান্ডা হবে, রাগ বশে রাখা সম্ভব হবে।
মনের মধ্যে রাগ পুষে রাখবেন না। ছবি: শাটারস্টক।
৪) মনের মধ্যে রাগ পুষে রাখবেন না। রাগ পুষে রাখলে সারা ক্ষণ সেই নিয়ে ভাবতে থাকবেন। নিজের এই একপেশে চিন্তায় ডুবে থাকলে ভাল কিছু ভাবার ক্ষমতাটাই না চলে যায়! তার বদলে ক্ষমা করতে শিখুন।
৫) রাগ কমাতে হাসি-ঠাট্টার সাহায্য নিতে পারেন। রাগ হলে সেই কথা এমন কারও সঙ্গে ভাগ করে নিন, যাঁকে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। অফিসে এক জন কাছের মানুষ থাকেনই, যিনি যে কোনও পরিস্থিতিতে আপনার মেজাজ ভাল করে দিতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এমন কোনও মানুষের সাহায্য নিতে পারেন।
কোনও কিছু করেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কিন্তু আপনাকে মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।