ল্যাপটপ পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন স্যানিটাইজার ওয়াইপ। ছবি: শাটারস্টক।
কয়েক দিন ব্যবহার করতে না করতেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কিবোর্ডে আর পর্দায় ধুলো পড়ে যায়। সেই ধুলো দেখে অস্বস্তি হলে, আমরা সাফ করে নিই। কিন্তু ধুলো দেখা গেলেও, কিবোর্ডের ফাঁকে বা ল্যাপটপের নানা খাঁজে এমন অনেক বিপজ্জনক জিনিস জমা হয়, যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার না করলে বিপদ।
কয়েক বছর আগে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ’ নামক পত্রিকায় ‘ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মেসি এমপ্লয়িজ’-এর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখানে গবেষকরা দেখিয়েছেন, যে কোনও কিবোর্ডের ৯৬ শতাংশ অংশই নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়ায় ভর্তি হয়ে থাকে। সেগুলি নানা ধরনের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করার পর তার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
জানেন কি কত দিন অন্তর পরিষ্কার করবেন ল্যাপটপ ? ছবি: শাটারস্টক।
কী ভাবে পরিষ্কার করবেন, আর কত দিন অন্তর পরিষ্কার করবেন?
নরম সুতির কাপড়ে আইসোপ্রোপাইল লাগিয়ে, তা দিয়ে কিবোর্ড পরিষ্কার করা উচিত। ল্যাপটপের পর্দাও একই ভাবে সাফ করা যেতে পারে। আর কখনও আইসোপ্রোপাইল কিবোর্ডে স্প্রে করা যাবে না। অনেকেই রাবিং অ্যালকোহল দিয়ে ল্যাপটপ পরিষ্কার করেন। এই ভুল না করাই ভাল। এই প্রকার অ্যালকোহল এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করে।
এক বার সাফ করার দু’সপ্তাহ পর থেকে আবার দ্রুত গতিতে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি হতে থাকে। তাই দু’সপ্তাহ অন্তর ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কিবোর্ড পরিষ্কার করা উচিত। রোজ পরিষ্কার করতে পারলে আরও ভাল।
পরিষ্কারের পদ্ধতি
১) ল্যাপটপটি সবার আগে বন্ধ আছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।
২) একটা কাগজ পেতে ল্যাপটপটা আলতো করে ঝেড়ে নিন। জমে থাকা ধুলোগুলি পরিষ্কার হবে।
৩) কিবোর্ডের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে কম্প্রেসড এয়ার ক্যান ব্যবহার করুন।
৪) এ বার সুতির কাপড় দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। খেয়াল রাখবেন কাপড়টি যেন খুব বেশি ভিজে না থাকে। এ ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ওয়াইপও ব্যবহার করতে পারেন। তবে পরে অবশ্যই শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।