Toothpaste

লাল, নীল, সাদা, সবুজ রং না কি বিজ্ঞাপনে প্রিয় তারকার মুখ, কী দেখে মাজন কিনবেন?

মাজনের স্বাদ কেমন তা দেখে দাঁত মাজতেন ছোটবেলায়। মাজতে মাজতে অর্ধেকটা খেয়েও ফেলেছেন অনেক সময়ে। কিন্তু মুখের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে দাঁতের মাজন কিনেছেন কখনও?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

কোনও মাজনে নুন আছে। আবার কোনওটিতে আছে নিম। মুখের তরতাজা ভাব ধরে রাখতে মিন্ট দেওয়া মাজনও ব্যবহার করেন কেউ। কারও আবার ঠান্ডা-গরমে দাঁতের গোড়া শিরশির করে। তাই সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণ করে এমন মাজনও পাওয়া যায় বাজারে। আবার মুখের মধ্যে যদি কোনও গুরুতর কোনও সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আলাদা ধরনের মাজনও ব্যবহার করতে দেখা যায় কাউকে। কিন্তু সাধারণ ভাবে বাজারে পাওয়া যায় এমন মাজনগুলির মধ্যে কোনটি আপনার জন্য ভাল তা বুঝবেন কী করে? চিকিৎসকেরা বলছেন, টেলিভিশনে প্রিয় তারকার দেখানো বিজ্ঞাপন বা মাজনের রং নয়, মাজন কেনার আগে নিজের মাড়ি বা দাঁতের সমস্যাগুলির বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

মাজন কেনার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?

১) মুখের প্রয়োজন বুঝতে হবে

Advertisement

সকলের মাড়ি বা দাঁতে সমস্যা থাকে না। কিন্তু যাঁদের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, দাঁত ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাঁদের প্রয়োজন বুঝে আলাদা মাজন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

২) শিশুদের প্রয়োজন আলাদা

শিশুরা যেহেতু চকোলেট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খায়, তাই তাদের জন্য আলাদা ধরনের পেস্ট কিনতে পারলে ভাল হয়। আবার দাঁত মাজতে গিয়ে বেশির ভাগ শিশুই মাজন খেয়ে ফেলে। তাই এই ধরনের মাজনে রাসায়নিক না থাকায় শ্রেয়।

৩) স্পর্শকাতর দাঁত

খাবার থেকে হওয়া ক্ষতি এড়াতে দাঁতে যে এনামেলের পরত থাকে, তা নষ্ট হয়ে স্নায়ুমুখগুলি খুলে যায়। ফলে ঠান্ডা বা গরম খেলেই দাঁতে শিরশিরানি বেড়ে যায় অনেকের। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মাজন দিয়ে দাঁত না মেজে পটাশিয়াম নাইট্রেট বা স্ট্রোনটিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া সেনসিটিভ দাঁতের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি মাজন ব্যবহার করাই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement