কর্মক্ষেত্রে কী ভাবে কাজের গুণগত মান বজায় রাখবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
সকালে মোবাইলের অ্যালার্ম বাজলেই যেন একরাশ ক্লান্তি চেপে বসে। মনে হয়, আবার? সেই অফিস, কাজ! দিনভর কাজ করে ক্লান্ত শরীরে ফিরেও শান্তি নেই। পরিবারের ঝক্কি।
কাজের চাপে বহু মানুষের এখন এমনই অবস্থা। ক্লান্তি, বিরক্তি একঘেয়েমি চেপে বসছে। কারও সমস্যা, সময়ে কাজ শেষ হয় না। কারও আবার অতিরিক্ত সময় কাজ করতে গিয়ে ক্লান্তি চেপে বসে। ঘুমের সময় ঠিক না থাকায় শরীরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করে কাজের গুণগত মানেও। কর্মক্ষেত্রে যে কাজের চাপ আচমকা কমে যাবে, এমনও নয়। কাজ ছেড়ে ঘরে বসে থাকাও যাবে না। তা হলে ভাল থাকার উপায়? তা কিন্তু নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। কী ভাবে কাজ করলে বাড়ি-অফিস, দুই-ই সামাল দেওয়া যাবে, নিজের যত্নও হবে, কাজও হবে নিজের মতো করে, তা ঠিক করা প্রয়োজন। তবে কয়েকটি দিক মাথায় রাখলে এই সমস্যার সমধান হতে পারে।
কাজের সময় নির্ধারণ
সময়ের কাজ সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। এটা মাথায় রেখে কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। ঠিক কত ক্ষণ কাজ করবেন, তার একটা সময়সীমা নির্ধারণ করে নেওয়া যেতে পারে। সেই সময়টা অনাবশ্যক কথা না বলে, ঘড়ি ধরে কাজ করলে সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে। আবার একটানা কাজ করার পর একটু বিরতি নিলেও মাথা হালকা লাগবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে আর কাজ নয়।
আগাম পরিকল্পনা
যাঁরা কাজ সময়ে শেষ করতে গিয়ে হিমশিম খান, তাঁদের জন্য কাজ নিয়ে আগাম পরিকল্পনা ও হোমওয়ার্ক বিশেষ সহায়ক হতে পারে। তবে শুধু অফিসের কাজ নয়, সকালে উঠে ঘরের ছোটখাটো কাজ কখন, কোনটা কী ভাবে করবেন, আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া নিলে লাভ হতে পারে। সেই পরিকল্পনার মধ্যে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামও থাকা প্রয়োজন।
মনোযোগহীনতা
মনঃসংযোগের অভাব কাজের গুণমানে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অফিস হোক বা বাড়ি, কাজের সময় মন যাতে অন্য দিকে না যায়, দেখা প্রয়োজন। কাজের ফাঁকে মোবাইল দেখা, সমাজমাধ্যমে পোস্ট, অপ্রয়োজনে কারও সঙ্গে কথা বলা মনঃসংযোগ নষ্টের কারণ হতে পারে। এতে কাজের গতি যেমন শ্লথ হতে পারে, তেমনই ভুলত্রুটির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
খাবার
কর্মক্ষেত্রে কাজের গতির সঙ্গে শরীরেরও সম্পর্ক রয়েছে। শরীর-মন চাঙ্গা না থাকলে কাজে যেমন মন বসবে না, তেমনই আলস্যও চেপে বসতে পারে। শরীর ভাল রাখতে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজের পরিমাণের সামঞ্জস্য থাকা দরকার। অতিরিক্ত ভাজাভুজি বা মেপে না খাওয়ার অভ্যাসে যেমন শরীর খারাপ হতে পারে, তেমনই পুষ্টির অভাবে ক্লান্তি চেপে বসতে পারে।