প্রতীকী ছবি।
সন্তানকে প্রথম স্নান করানোর দিন সকল মা-বাবার জীবনেই এক সুখস্মৃতি। তবে তা যে একেবারে মসৃণ ছিল, এমনটা হয়তো কেউ বলবেন না। অধিকাংশ বাচ্চাই স্নানের প্রতি প্রবল অনীহা দেখায়। স্নান করানোর সময়টুকু যে প্রায় যুদ্ধের সমান, এ কথা বললে হয়তো অত্যুক্তি করা হবে না কোনও। অনেক মা-বাবাই চেষ্টা করেন প্রতিদিন বাচ্চাকে চান করাতে। কিন্তু তা কি আদৌ আপনার বাচ্চার জন্য ভাল?
সম্প্রতি তারকাদের একটি টক শো-তে, হলিউড জুটি অ্যাশটন কুচার-মিলা কুনিস বলেছেন রোজ নিজের সন্তানকে স্নান করানোর ভক্ত তাঁরা নন। কুচারের নিজের কথায়, ‘‘যদি ওদের শরীরে ময়লা দেখতে পান, তাহলে পরিষ্কার করে দিন। তা ছাড়া কোনও প্রয়োজন নেই।’’ এমন বক্তব্যের জন্য তাঁরা যেমন নিন্দাও কুড়িয়েছেন, তেমনই প্রশংসাও পেয়েছেন বাস্তববোধের জন্য । ত এই গোটা পর্ব উস্কে দিয়েছে সেই পুরোনো প্রশ্ন— কত ঘন ঘন স্নান করানো উচিত আপনার সন্তানকে?
প্রতীকী ছবি
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু রোজ রোজ স্নান করাতে নিরুৎসাহিতই করছেন। তার কারণ এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব চলে যায়। ত্বক হয়ে পড়ে রূক্ষ ও শুষ্ক। অনেক ক্ষণ জল, সাবান বা শ্যাম্পুর সংস্পর্শে ত্বকে অস্বস্তি হয় বলে বাচ্চারাও ধৈর্য হারায় সহজেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪-৫ বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত সপ্তাহে এক থেকে দু’বার স্নান করালেই তা বাচ্চার পক্ষে যথেষ্ট। বাচ্চাকে খেয়াল করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে প্রতি দিন স্নান করানোর হ্যাপা নেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই।
আপনার বাচ্চার বয়স যদি হয় ৬ থেকে ১১-র মধ্যে, তা হলে সে স্বাভাবিক ভাবেই বাইরে আরও বেশি সময় কাটাবে, তাই এ ক্ষেত্রে নিয়মিত স্নান করানো প্রয়োজনীয়ও হয়ে পড়বে। তা ছাড়া, এই সময়ের মধ্যে বয়স বাড়ার কারণেই আপনার বাচ্চার ত্বক আরও পরিণত হয়ে যাবে, ফলে প্রতি দিন চানের কোনও ধকল পড়বে না শরীরে।