প্রেশার কুকারে ক’টা সিটি দেবেন? ছবি: সংগৃহীত।
হাতে সময় থাকলে, রাতে বাড়ি ফিরে রান্না করতে ইচ্ছে না করলে অনেক সময়েই প্রেশার কুকারের শরণাপন্ন হতে হয়। অল্প সময়ে ভাতে-ভাত হোক বা দেদার মশলা দিয়ে কষানো মুরগির মাংসের কোনও পদ— মাত্র কয়েক মিনিটেই কাজ ‘খতম’। কিন্তু রান্নার ব্যাপারে যাঁরা খুব পটু নন, তাঁদের জন্য ভারি বিপদ। কড়াইতে রান্না করলে খাবার সেদ্ধ হল কি না, তা উপর থেকে বা নেড়েচেড়ে দেখার উপায় আছে। কিন্তু প্রেশার কুকারের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা নেই। রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, প্রেশার কুকারে খাবার সেদ্ধ হলেও খাবারের ধরন অনুযায়ী সিটির সংখ্যাও বদলে যায়। সেই হিসেব মাথায় রাখতে না পারলে কোনও দিন খাবার বেশি সেদ্ধ হয়ে গলে ঘেঁটে যাবে, না হলে আবার আধসেদ্ধ হয়ে কচকচ করবে।
১) কড়াইশুঁটি:
প্রেশার কুকারে একটা বা দুটো সিটি দিলেই সবুজ কড়াইশুঁটি ভাল ভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়। তবে, কড়াইশুঁটি যদি রোদে শুকিয়ে মটর হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে সেদ্ধ হতে কিন্তু সময় লাগবে। সিটি দেওয়ার পরেই কিন্তু ঢাকা খুলে দেওয়া যাবে না। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ওই অবস্থায় রেখে দিতে হবে।
২) কাবলি ছোলা:
সারা রাত ধরে জলে ভেজানো কাবলি ছোলা দিয়ে মাখো মাখো একটা তরকারি করবেন, কিন্তু প্রেশার কুকারে ক’টা সিটি দিতে হবে, তা জানেন? গরম জলে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা ছোলা সেদ্ধ হতে মোটামুটি ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। প্রেশার কুকারে তিন থেকে চারটে সিটি দিলেই হবে।
৩) মুরগির মাংস:
খাসির মাংস সেদ্ধ হতে সময় লাগে। কিন্তু মুরগির মাংস তুলনায় নরম। দুই থেকে তিনটি সিটি দিলেই মাংস ভাল ভাবে সেদ্ধ হবে। রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে মাংসের ধরন বুঝে নেওয়া জরুরি। মাংস যদি খুব কচি হয়, তা হলে প্রেশার কুকারে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার, প্রেশার কুকারে যদি দেশি মুরগির মাংস রান্না করেন, তা হলে পাঁচ থেকে ছ’টি সিটি দেওয়া যেতে পারে।
প্রেশার কুকারে খাবার সেদ্ধ হলেও খাবারের ধরন অনুযায়ী সিটির সংখ্যাও বদলে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) বিন্স:
কাবলি ছোলার মতো অনেকে ডালও সারা রাত ভিজিয়ে রাখেন। তবে, মুগ-মুসুর ডাল সেদ্ধ করতে যত না সময় লাগে, ভুট্টা, রাজমা জাতীয় দানা সেদ্ধ হতে কিন্তু বেশি সময় লাগে।
৫) ভাত:
প্রেশার কুকারে ভাত করতে গেলেই প্রতি বার গলে, ঘেঁটে, দলা পাকিয়ে সে এক কাণ্ড হয়! তবে সহজ একটি হিসাব মাথায় রাখলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়। এক কাপ চালের জন্য প্রেশার কুকারে একটি সিটিই যথেষ্ট। তবে, এ ক্ষেত্রেও চালের ধরন, ভেজানোর সময় গুরুত্বপূর্ণ।