নানা দায়িত্বের মাঝেও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। ফাইল চিত্র
অতিমারির মাঝে দফায় দফায় লকডাউন। স্কুল বন্ধ। অফিসের অনেক কাজই চলছে বাড়ি থেকে। বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হয়েছে। এমন অবস্থায় কে না বোঝে, কার উপরে চাপ সবচেয়ে বেশি? অবশ্যই মায়েদের। এক দিকে সংসারের কাজ, সন্তানের দেখাশোনা। আবার অন্য দিকে সমান তালে অফিসের দায়িত্ব সামলানো। এ সবের মধ্যেও মায়েদের ঠিক রাখতেই হবে নিজেদের।
মাতৃদিবসে মায়েদের বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়ার কথা ওঠে। তবে বাকি ৩৬৪ দিন সুস্থ থাকতে হবে নিজেদেরই। তাই অতিমারির মাঝে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি উপায় বলে দিলেন চিকিৎসকেরা। তা মেনে চললে ভাল থাকবেন ব্যস্ত মায়েরাও।
নিয়ম
কাজের অনেক চাপ। কিন্তু সবটা নিয়মে বেঁধে ফেললে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। সময়ে সব কাজ করে ফেলা যাবে। ফলে মাথায় অতিরিক্ত কাজের ভার থাকবে না। অস্বস্তিও কম হবে।
অতিমারির শিক্ষা
সারাক্ষণ বাড়ির সকলে হাত ধুচ্ছে কি না, মাস্ক পরছে কি না দেখে রাখা সম্ভব নয়। এত চাপ নিতে গেলে নিজের কাজে মন দেওয়া যায় না। বরং একটা সময় বার করে অতিমারির মধ্যে সুরক্ষা-বিধি মেনে চলার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন বাড়ির ছোটদের। মা মেনে চললে, শিশুরাও তা দেখে শিখবে।
যোগাযোগ
অন্য মায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাঁরা কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন আলোচনা করুন। এত ভার যে শুধু আপনার জীবনেই নয়, অন্যদেরও রয়েছে, তা মাঝেমাঝে শোনা দরকার। তাতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হবে না। আর অন্যদের সঙ্গে পরামর্শ করলে কিছু সমস্যার সমাধানও মেলে।
নিজের সময়
দায়িত্ব যতই থাক, নিজের ভাল লাগার কাজ করার জন্য কিছুটা সময় বার করতেই হবে। তা যত কমই হোক। যেন নিজে কিছুই করতে পারছেন না, এই ভাবনা পেয়ে না বসে। তার থেকে মন খারাপ হবে। অন্য কাজের ইচ্ছাও কমে যাবে।