ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের সময় এই ভুলগুলি যেন না হয়. ছবি: ফ্রিপিক।
হাতে কাচার আর ঝক্কি নেই। মেশিনে দিলেই ফটাফট জামাকাপড় পরিষ্কার হয়ে কাচা হয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত ও আধুনিক হয়েছে আমাদের জীবন। পরিশ্রমও কমেছে। আগে জামাকাপড় হাতে কাচার সময় না থাকলে সব জড়ো করে লন্ড্রিতে পাঠানো হত। দামি জামাকাপড় কাচার খরচও ছিল ভালই। কিন্তু ওয়াশিং মেশিন এসে গিয়ে অনেকটাই সুরাহা হয়েছে। তবে যন্ত্র যখন ব্যবহার করছেন, তখন তার যত্নও নিতে হবে ঠিক করেই। সঠিক নিয়ম ও কৌশল না মানলে, অচিরেই যন্ত্র খারাপ হয়ে যেতে পারে। কাজেই আপনার সাধের ওয়াশিং মেশিনটিকে দীর্ঘ সময়ে ভাল রাখতে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন সেটা জেনে রাখাই ভাল।
১) প্রথমত মনে রাখতে হবে, ওয়াশিং মেশিনে একগাদা জামাকাপড় ঠাসাঠাসি করে ঢোকাবেন না। বেশি জামাকাপড় জমে গেলে তা দু’বারে কাচুন। পরিমাণ বুঝে জামাকাপড় ঢোকাতে হবে মেশিনে। সীমিত পরিমাণ জামাকাপড়ই কাচুন। না হলে মেশিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। খুব তাড়াতাড়ি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেশিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২) দাগছোপ লাগা জামাকাপড় ওয়াশিং মেশিনে ফেলে রাখবেন না বা ভিজিয়ে রাখবেন না। যে জামায় বেশি দাগ লেগে রয়েছে সেটি বরং বালতির জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তার পর মেশিনে কেচে নিতে পারেন।
৩) ডিটারজেন্ট ব্যবহারের সময়েও সতর্ক থাকতে হবে। যে পরিমাণ জামাকাপড় মেশিনে দিচ্ছেন সেই বুঝে কাপড় কাচার সাবান ব্যবহার করুন। বেশি সাবান ব্যবহার করা মানেই তা জমে থেকে মেশিনের নিকাশি ব্যবস্থাকে খারাপ করে দিতে পারে।
৪) জামাকাপড় মেশিনে দেওয়ার আগে দেখে নিন টাকা, পয়সা বা ধাতব জিনিস রয়েছে কি না। ধাতুর জিনিস বা ধারালো কিছু মেশিনে ঢোকালে তাড়াতাড়ি সেটি জবাব দিয়ে দেবে।
৫) প্রতি বার কাচাকাচির পর ওয়াশিং মেশিনের ভিতরটা ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে জামাকাপড়ের সুতো, কাচার পরে ময়লা ইত্যাদি জমে থেকে মেশিন খারাপ করে দেবে। ভিনিগার, বেকিং সোডা জলে গুলে মেশিনের ভিতরটা পরিষ্কার করতে পারেন।
৬) ওয়াশিং মেশিনে চালু করার পরে যদি কোনও যান্তব আওয়াজ একটানা হতে থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রের সংস্থা বা কারিগরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। জামাকাপড় ধুতে অসুবিধা হচ্ছে না বলে দিনের পর দিন সেই আওয়াজ-সহ ব্যবহার করলে মেশিন নষ্ট হতে বাধ্য। যন্ত্রের ভিতরে কোনও অংশ আলগা হয়ে খুলে এলে এমন আওয়াজ হতে পারে।
৭) ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের আগে নিয়মাবলী ভাল করে পড়ে নিন। তার পর সেটিংস দেখে নিন। ব্যবহার না জেনে হঠাৎ কোনও সুইচ অন বা অফ করবেন না। এক একটা সুইচ এক এক রকম কাজ করে। তা ছাড়া কোন ফ্যাব্রিকের জামা কাচার জন্য কী সুইচ অন করতে হবে সেটাও জেনে রাখা ভাল।
৮) মেশিনের ভিতরে মরচে পড়ছে কি না খেয়াল রাখুন। মরচে ধরলে গরম জলে দু’কাপ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মেশিনে দিয়ে একবার চালিয়ে নিন। তাতেও যদি দেখেন মরচে যাচ্ছে না, তা হলে সেই অংশটি পালটে নেওয়াই ভাল।