কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে আপনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চিজ। ছবি: শাটারস্টক।
চা বানানোর সময়ে দুধ গরম করতে গিয়ে দেখলেন, দুধ কেটে গিয়েছে। এ রকম অনেক সময়েই হয়। তবে দুধ নষ্ট হয়ে গেলে তা ফেলে দেবেন না। কারণ কেটে যাওয়া দুধও হরেক রকম কাজে ব্যবহার করা যায়।
অনেকেই সেই দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করে নেন। ছানা দিয়েই বানিয়ে ফেলেন কোফতা কারি কিংবা হরেক রকম মিষ্টি। তবে জানেন কি, এই নষ্ট দুধ গৃহস্থলীর অনেক কাজে লাগে?
১) কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে আপনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চিজ। দুধ ছানা কাটতে শুরু করলে তাতে ভিনিগার মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। এর পর দেখবেন, জল আর চিজ আলাদা হয়ে গিয়েছে। চিজ গরম জল থেকে তুলে নিয়ে নুন জলে ভাল করে ধুয়ে নিন, যাতে ভিনিগারের টক ভাব কেটে যায়। এ বার জল থেকে তুলে নিয়ে সেলোফিন র্যাপে মুড়ে তিন ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে মোৎজারেলা চিজ।
২) স্যালাড ড্রেসিং করতেও কাজে আসে নষ্ট দুধ। তবে মাথায় রাখতে হবে, দুধ জ্বাল দেওয়ার আগে ফেটে গেলে কেবলমাত্র সেই দুধই ব্যবহার করা যাবে সাওয়ার ক্রিমের পরিবর্তে স্যালাড ড্রেসিং হিসাবে।
গাছের পরিচর্যাতেও আমরা নষ্ট দুধ ব্যবহার করতে পারি। ছবি: শাটারস্টক
৩) কেটে যাওয়া দুধ থেকে তৈরি হতে পারে কেক বা প্যানকেকও। দুধ ফেটে গেলে ফেলে না দিয়ে জিভে জল আনা মিষ্টি তৈরি করে ফেলতে পারেন। বেক করার সময়ে মাখন কিংবা ডিমের পরিবর্তে ব্যহবার করা যেতে পারে বেকিং সোডা আর নষ্ট দুধ।
৪) গাছের পরিচর্যাতেও আমরা এই দুধ ব্যবহার করতে পারি। নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ সার হিসাবে খুব ভাল কাজ দেয়। এই দুধ গাছের গোড়ায় দিলে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।
৫) ত্বকের যত্নেও কেটে যাওয়া দুধ ভাল কাজ করে। এটি ফেসপ্যাকের মতো মুখে লাগিয়ে নিন। তার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।
৬) বাড়িতে বিড়াল থাকলে তাকেও দিতে পারেন এই দুধ। দুধ এমনিতেই বিড়ালদের খুব প্রিয়। আমরা কেটে যাওয়া দুধ না খেতে পারলেও বিড়ালদের কোনও অসুবিধা হয় না। বরং কেটে যাওয়া দুধের গন্ধ ওদের বড়ই প্রিয়। এক বার দিয়েই দেখুন না, পোষ্য বিড়ালটি চেটেপুটে খেয়ে ফেলবে।