কোন কোন গাছ এড়িয়ে চলবেন, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
ঋতু বদলের সময়ে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে অনেকের। ধুলো, ধোঁয়া, ফুলের রেণু থেকে মারাত্মক সংক্রমণ হয়ে যায়। তখন ক্রমাগত হাঁচি-কাশি, নাক থেকে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে ফুলে ওঠা, চোখ থেকে জল পড়া, চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসার ভাষায় একে বলে ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’। যে কোনও কিছু থেকেই অ্যালার্জি বাড়তে পারে, তাই খুব সাবধানে থাকতে হয়। নির্দিষ্ট কোনও গন্ধ, খাবার, গাছের পাতা বা ফুলের রেণুও অ্যালার্জির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই আপনার বা বাড়ির কারও এমন সমস্যা হলে কয়েক ধরনের গাছ ঘরে রাখবেন না।
আপনি হয়তো গাছ দিয়ে ঘর বা বারান্দা সাজাতে ভালবাসেন। কিন্তু অ্যালার্জির সমস্যা খুব ভোগায় আপনাকে। তা হলে কিছু গাছ এড়িয়ে চলাই ভাল।
গাঁদা
দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। কিন্তু গাঁদা থেকে প্রচুর পরিমাণে রেণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তাই অ্যালার্জির সমস্যা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে গাঁদা। যাঁদের অ্যালার্জির ধাত আছে তাঁরা যদি ঘরে বা বারান্দায় গাঁদা গাথ রাখেন, তা হলে হাঁচি-কাশি, চুলকানির সমস্যা বাড়তে পারে।
বেবি’স ব্রেথ
ছোট্ট ছোট্ট সাদা ফুলগুলি ঘরে রাখলে অপূর্ব লাগে দেখতে। আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ চেহারা হলেও বেবি’স ব্রেথের এক একটি ফুল মারাত্মক অ্যালার্জির সমস্যার কারণ হতে পারে। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-অর তথ্য বলছে, প্রতিটি ফুলে এমন উপাদান আছে যার থেকে হাঁপানি, শ্বাসের সমস্যাও হতে পারে। অবশ্য যাঁদের অ্যালার্জির ধাত আছে তাঁরাই সাবধানে থাকবেন।
উইপিং ফিগ
ঘর বা বারান্দা সাজানোর জন্য এই জাতীয় গাছের চল খুব বেড়েছে। ফিকাস বেঞ্জামিনা বা উইরিং ফিগ দেখতে খুব সুন্দর। ঝাঁকড়া পাতার এই গাছ ঘরে রাখেন অনেকে। কিন্তু এই গাছের কাণ্ড থেকে এক রকম আঠা বার হয়, যা ফুসফুসের সংক্রমণের কারণ হতে পারে। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে উইপিং ফিগ থেকে দূরে থাকাই ভাল। কারণ এই গাছের আঠার সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে।
ডালিয়া
বারান্দায় বিভিন্ন রকম ডালিয়া ফুটলে তার সৌন্দর্যই হয় আলাদা। এত সুন্দর ফুল অ্যালার্জির কারণ হতে পারে ভাবাই যায় না। কিন্তু ডালিয়ার বিভিন্ন প্রজাতি আছে, যেগুলি এমন রেণু তৈরি করে, যা হাঁচি-কাশি বা হাঁপানির কারণ হতে পারে। অ্যালার্জির ধাত থাকলে বাড়িতে ডালিয়া না রাখাই ভাল। তা হলে বছরভর হাঁচি-কাশিতে ভুগতে হবে।
ফার্ন
গাছ দিয়ে যাঁরা ঘর সাজান, তাঁরা সংগ্রহে একটি বা দু’টি ফার্ন রাখবেনই। বাড়িতে পোষ্য থাকলেও ফার্ন রাখা যায়। কিন্তু যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে বা ফুসফুসের কোনও রোগ থাকে, তা হলে ঘরে ফার্ন রাখবেন না। হাঁচি-কাশি, ত্বকে চুলকানি, চোখে সংক্রমণের কারণ হতে পারে ফার্ন।