বরফ কী কী ভাবে ব্যবহার করা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
ককটেল হোক বা মকটেল, পানীয়ে কয়েক টুকরো বরফ থাকতেই হবে। তবে পানীয়ে ব্যবহার ছাড়াও বরফ কিন্তু দৈনন্দিন নানা কাজে লাগে। তার কোনওটা জানা, আবার অনেক কিছুই অজানা।
পানীয় ছাড়া আর কোন কাজে লাগে বরফ?
ব্যথা কমাতে
বরফ ব্যথা কমাতে বিশেষ সহায়ক। পড়ে গিয়ে হাড়ে আঘাত লাগলে বা ছেঁকা লাগলে দ্রুত সেখানে বরফ দিতে বলা হয়। ফোলা কমাতেও সাহায্য করে বরফ। অস্থিসন্ধি, হাঁটু-কোমরের ব্যথা কমাতে বরফের ব্যবহার সব সময়েই রয়েছে।
ত্বককে সজীব রাখে
প্রচণ্ড গরমে মুখে বরফ ম্যাসাজ করে মেকআপ করলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ ছাড়াও ত্বকে বরফ ব্যবহারে ফোলাভাব কমে, ত্বক হয়ে ওঠে টান টান। ক্লান্তির ছাপ দূর হওয়ার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
দ্রুত খাবার ঠান্ডা করে
প্রচণ্ড গরম খাবার দ্রুত ঠান্ডা করতে বরফ সাহায্য করে। একটা বড় পাত্রে বরফ ও জল নিয়ে তার মধ্যে গরম খাবারের পাত্র বসিয়ে রাখলে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। বিশেষত তাড়াহুড়োর সময় এই পদ্ধতি খুব কাজে লাগে।
খাবারে অতিরিক্ত তেল কমাতে সাহায্য করে
খাবারে তেল বেশি হয়ে গেলে বা ফ্যাটযুক্ত উপাদান বেশি থাকলে বরফের সাহায্যে তা সহজেই তুলে ফেলা যায়। খাসির মাংসের পদ হোক বা স্টু, একটা পরিষ্কার সাদা কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে চর্বিযুক্ত খাবারের উপর ডুবিয়ে দিলেই দেখা যাবে, চর্বি বা ফ্যাট বরফের গায়ে ঘন হয়ে লেগে যাচ্ছে।
সব্জির রং ধরে রাখে
সেদ্ধ বা ভাপিয়ে নেওয়ার পর যে কোনও সব্জির রং অনেকটাই চলে যায়। সেই রং ধরে রাখা যায়, যদি সব্জি বরফ জলে ভিজিয়ে রেখে রান্না করা হয়। পালং পনির থেকে রকমারি রান্নায় সেই জন্য সব্জি ভাপিয়ে নেওয়ার পর বরফ জলে ডুবিয়ে রাখা হয় কিছু ক্ষণ।
শুকিয়ে যাওয়া সব্জি সতেজ করে
ধনেপাতা থেকে পুদিনা পাতা, লেটুস-সহ নানা রকম শাক-সব্জি অনেক সময় শুকিয়ে যায়। সেই সব্জি ১০-১৫ মিনিট বরফ জলে ডুবিয়ে রাখলে আগের চেয়ে অনেকটাই সতেজ হয়ে উঠবে।
ব্লেন্ডারের ব্লেড ধারালো করা যায়
ব্লেন্ডার বা মিক্সারে কয়েক টুকরো বরফ ও জল, এক ফোঁটা তরল সাবান দিয়ে উচ্চ গতিতে এক মিনিট ঘুরিয়ে নিলে ব্লেন্ডার দারুণ পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি, ব্লেডগুলিও ধারালো হয়ে উঠবে।