ম্যান্ডেভিলার যত্ন করবেন কী ভাবে? ছবি:ফ্রিপিক।
গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়ার মরসুম শেষ। এ বার বাগানের জন্য দরকার বসন্ত এবং গরমের ফুল। জুঁই, বেল, রজনীগন্ধা আছেই। তবে এখন থেকে ম্যান্ডেভিলা গাছের পরিচর্যা শুরু করলে ফুল মিলবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। শীতের মরসুমে এই গাছের পাতা ঝরে যায়। ফুল ফোটে না। তবে সে সময় বাদ দিলে অন্য মরসুমে গোলাপি, সাদা, লাল— বিভিন্ন রকম ফুল পেতে পারেন এই গাছ থেকে।
মাটি: এই গাছের জন্য মাটিতে আর্দ্রতা দরকার, তবে খুব জরুরি জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও। মাটি এমন হতে হবে, যাতে যাতে টবে জল না বসে। দোআঁশ বা বেলে, যে কোনও মাটি বেছে নিতে পারেন। ৩০ শতাংশ মাটির সঙ্গে মেশাতে হবে ৫০ শতাংশ কম্পোস্ট বা জৈব সার আর ২০ শতাংশ কোকোপিট।
২. গাছের জন্য ছ’ঘণ্টা সূর্যোলোকের দরকার হয়। তবে রোদ আসে অথচ ছায়াও রয়েছে, এমন জায়গায় গাছ বেড়ে উঠতে পরে। এই গাছ বেশ বড় হয়। কঞ্চি বা দড়ি দিয়ে বেঁধে দিলে লতিয়েও উঠতে পারে। তবে সেটা না চাইলে গাছ বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে।
৩. গাছ বেড়ে ওঠার সময় দরকার হয় সারের। উচ্চ ফসফরাস যুক্ত সার ম্যান্ডেভিলার জন্য ভাল। মাসে এক বার ভার্মি কম্পোস্টও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া দেওয়া যায় সামান্য পরিমাণ হাড়ের গুঁড়ো। খুব বেশি সারের প্রয়োজন হয় না এই গাছে। যদি দেখা যায় গাছ ঠিকমতো বাড়ছে না বা ফুল কম হচ্ছে, তখন সার দিতে পারেন, তা-ও স্বল্প পরিমাণে।
৪. গাছে পোকামাকড়ের হানার আশঙ্কা থাকেই। সে কারণে মাসে এক বার নিমপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল স্প্রে করতে পারেন। নিমতেলও দিতে পারেন।
৫. মাটি আর্দ্র থাকবে অথচ ভিজে ভাব বেশি থাকবে না। সে কারণে জল দেওয়ার আগে মাটি পরীক্ষা করা জরুরি। টবের মাটি আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন, যদি ভিজে ভাব থাকে, তা হলে জল দিতে হবে না। টবের মাটির উপরের অংশ শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন।