বর্ষায় মেঝে থাক সাফসুতরো। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা মানেই রাস্তাঘাট জলকাদায় পরিপূর্ণ। বৃষ্টি পড়ছে বলে তো ঘরে বসে থাকার উপায় নেই। আর বাইরে গেলেই পা আর জুতো কাদায় মাখামাখি। পায়ের কাদা থেকে ঘরের মেঝেও নোংরা হয়। বর্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা এটি। অনেকেই সারা দিনে বার দুয়েক মেঝে মোছেন। তা সত্ত্বেও নোংরা যেতে চায় না। সেখান থেকে সংক্রমণের ভয়ও থাকে। বর্ষায় মেঝে পরিষ্কারের ক্ষেত্রে তাই ব্যবহার করতে পারেন কয়েকটি উপকরণ।
এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলি জলে মিশিয়ে ব্যবহার করলে মেঝে জীবাণুমুক্ত হবে। বর্ষায় চটচটে ভাবও থাকবে না।
১) ভিনিগার
রান্নার হামেশাই ব্যবহার করা হয় যে ভিনিগার, তা আসলে এক ধরনের প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। তবে অনেকেই এই ভিনিগারের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। তাই জলে ভিনিগার মেশানোর সময়ে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
২) বেকিং সোডা
মেঝে জীবাণুমুক্ত করার আরও একটি উপাদান হল বেকিং সোডা। আধ বালতি গরম জলে এক চামচ বেকিং সোডা এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দু’বার মুছে নিলেই মেঝে একেবারে ঝকঝক করবে।
মেঝেকে জীবাণুমুক্ত করতে গরম জলে কয়েক ফোঁটা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিলেই কেল্লা ফতে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বাসন মাজার তরল সাবান
মেঝের টাইল্স বা পাথর যতই পালিশ করান না কেন, বর্ষাকালে তার জৌলুসহীন হয়ে পড়ে সহজেই। আবহাওয়ার জন্য মেঝেতে কেমন একটা চটচটে ভাবও দেখা যায়। যার জন্য রোগজীবাণুর বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় বেশি। মেঝের সেই চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে এবং মেঝেকে জীবাণুমুক্ত করতে গরম জলে কয়েক ফোঁটা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিলেই কেল্লা ফতে।