বাইরে গরম হলেও, অন্দরসজ্জায় থাকুক ঠান্ডার ছোঁয়া। ছবি: শাটারস্টক
উষ্ণতার পারদ দিন দিন চড়ছে। তীব্র দাবদাহে বাইরে বেরোলেই হাঁসফাঁস অবস্থা। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে মন চায় না। বাইরের উষ্ণতার আঁচ যেন বাড়িতে না পড়ে, সে দিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে বইকি। শীতকালের পোশাক আর গ্রীষ্মের সাজ যেমন এক নয়, তেমন অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রেও সে কথা মনে রাখতে হবে। মরসুমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঘর সাজালে যেমন মন ভাল থাকে, তেমন আরামও বোধ হয়।
গ্রীষ্মকালের জন্য কী ভাবে ঘর সাজাবেন?
১) শীতকালে এক রঙা ভারী কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করবেন না। তার বদলে প্রতিটি ঘরে ঝুলিয়ে ফেলুন দু’ধরনের পর্দা। একটি পরতে ছোট, একেবারে পাতলা সুতির পর্দা কিংবা মোটা নেটের পর্দা লাগাতে পারেন। যা সন্ধেয় ঘর আড়াল করবে, কিন্তু হাওয়া খেলার সুযোগ করে দেবে যথেষ্ট। আর অন্যটি সুতির, তবে সামান্য ভারী। যা টেনে নিলে দুপুরের দিকে আর রোদ ঢুকবে না ঘরে। কিন্তু আবার এত ভারী নয় যে, বাতাস চলাচল আটকে যাবে। বিভিন্ন রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন এই সময়ে।
২) গ্রীষ্মের মেজাজের সঙ্গে মিলিয়ে হালকা ফুলেল রঙের চাদর, কুশনের ঢাকা, বালিশের ঢাকা কিনতে পারেন। হালকা গোলাপি, কমলা, আকাশি নীল কিংবা সাদার উপর হালকা কাজ করা কোনও জিনিস বেশ মানাবে।
৩) গ্রীষ্মের মরসুমে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগানো যায়। চোখের আরাম হবে। আর অন্দরে রাখার মতো গাছ বেশ কয়েকটি রাখলে ঘরও ঠান্ডা থাকবে।
গ্রীষ্মের মেজাজের সঙ্গে মিলিয়ে হালকা ফুলেল রঙের চাদর, কুশনের ঢাকা, বালিশের ঢাকা কিনতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক
৪) শীতকালে ভারী ভেলভেটের কাপড় কিংবা খুব ভারী চটের জিনিস দিয়ে ঘর সাজালেও গ্রীষ্মে কিন্তু সেই সাজ মোটেও চলবে না। টেবিল হোক বা সোফা, গরমে ব্যবহার করুন সুতির ঢাকা, ক্রুশের ঢাকা কিংবা উজ্জ্বল রঙের চাদর। ঘরে হাওয়া খেলবে। বাটিক কিংবা বাগরু প্রিন্টের চাদর বিছানায় পাততে পাড়েন।
৫) মেঝের কার্পেটটিও এ বার গুটিয়ে রাখতে পারেন। তার বদলে চটের মাদুর কিনতে পারেন। মাটিতে বিছিয়ে দিন সেটি। ঘর হালকা দেখাবে। ভিতরে ঢুকলে মনও ফুরফুরে হবে।