অন্দরমহলে জায়গা বাঁচবেন কী ভাবে ছবি: সংগৃহীত
নীড় ছোট হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু সেই নীড় নিজের মনের মতো করে সাজাতে না পারলে স্বস্তি পান না অনেকেই। অন্দরমহলের সাজ-সজ্জার স্থান সঙ্কুলান করতেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অনেককে। বিশেষত ফ্ল্যাট বাড়ির সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে এই সমস্যা। তবে সাধের গৃহকোণটি সঠিক ভাবে গুছিয়ে রাখতে পারলে কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে জায়গার সমস্যা। রইল তেমনই পাঁচটি কৌশল।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে এমন আসবাব কিনুন। বাড়ির অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে আসবাব। কাজেই এক আসবাবেই যদি একাধিক কাজ সম্পন্ন হয়, তবে খানিকটা জায়গা বাঁচে। সাধারণ টেবিলের বদলে ক্যাবিনেটযুক্ত টেবিল ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে টিভি রাখার জন্যও বিশেষ ধরনের ক্যাবিনেট পাওয়া যায়।
২। দেওয়ালের সদ্ব্যবহার করুন। বাড়ির দেওয়াল ঠিক ভাবে ব্যবহার করলে অনেক জায়গা বেঁচে যেতে পারে। আয়নার জন্য আলাদা আসবাব না কিনে দেওয়ালে ঝুলন্ত আয়না লাগাতে পারেন। অনেকেই এখন দেওয়ালে বাহারি তাক বসিয়ে তাতে ঘর সাজানোর জিনিস ও অল্প কিছু বইপত্র রাখেন। একই কথা প্রযোজ্য জানালার জন্যও। বিশেষত গাছের শখ থাকলে ছোট ছোট টবে লাগানো গাছ জানলায় রেখে দিতে পারেন। ঘরের সৌন্দর্য বাড়বে। অতিরিক্ত জায়গাও নষ্ট হবে না।
৩। হাল্কা পর্দা ব্যবহার করুন। দরজা জানালায় ভারী পর্দা লাগলে সামগ্রিক ভাবে ভরাট লাগে ঘর। একই কথা প্রযোজ্য টেবিল চেয়ারের ঢাকার ক্ষেত্রেও। সোফা জাতীয় আসবাব থাকলে কিংবা কুশন ব্যবহার করলে পাতলা কাপড়ের ঢাকা ব্যবহার করুন। ময়লা হয়ে গেলে এগুলি কাঁচতেও সুবিধা হবে।
৪। যে কোনও স্থানই সুন্দর হয়ে উঠতে পারে পরিচ্ছন্নতার গুণে। নিয়মিত সাফ করুন ঘর। খুচরো জিনিস গুছিয়ে রাখুন। ছোট ছোট নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের সামনে থাকলে সুবিধা হয়। কিন্তু তাতে জায়গাও নষ্ট হয় অনেকটা। প্রবেশের পথে জুতো মোজা ছড়িয়ে না রেখে তাকে রাখার ব্যবস্থা করুন। রান্না ঘরে যে যে বাসন রোজ ব্যবহৃত হয় না, সেগুলিও তুলে রাখুন তাকে। ব্যবহৃত জামাকাপড়, ব্যাগ বা বইপত্র এ দিক-ও দিক ছড়িয়ে রাখবেন না।
৫। পর্যাপ্ত আলো হওয়া চলাচলের বন্দোবস্ত করুন ঘরে। দেওয়াল ও আসবাবপত্রে হাল্কা রং ব্যবহার করলে ঘর বড় দেখায়। পাশাপাশি, ঘরের যে কোনও একটি পাশে অধিকাংশ আসবাব রেখে অন্য পাশ খালি রাখার চেষ্টা করুন।