সঠিক নিয়ম মেনে সংরক্ষণ না করলে সব্জির গুণাগুণ নষ্ট হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
মরসুম ভেদে সব্জির বাজারের চিত্রটিও বদলাতে থাকে। শীতকালে যে সব্জি পাবেন, বর্ষা কিংবা গরমে খুঁজলেও সেগুলি পাবেন না। সারা বছর পাওয়া যায় এমন সব্জির তালিকা কিন্তু খুব বেশি দীর্ঘ নয়। মটরশুঁটি, গাজর এবং পালং শাক— শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর তিনটি সব্জি। কিন্তু সারা বছর পাওয়া যায় না। কিন্তু তাই বলে কি খাবেন না? তা কেন, একবারে বেশি করে কিনে ফ্রিজে রেখে দিন। তবে সংরক্ষণের কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি মেনে চলা জরুরি।
মটরশুঁটি
ঠিক করে রাখলে সার বছর মটরশুঁটি সতেজ রাখা সম্ভব। তবে একসঙ্গে অনেক বেশি মটরশুঁটি রাখবেন না। সর্বোর্চ ১-২ কেজি মটরশুঁটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। প্রথমে মটরশুঁটিগুলি খোসা থেকে ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। তার পর জল ঝরিয়ে হালকা সিদ্ধ করে নিন। মটরশুঁটিগুলি ঠান্ডা হয়ে এলে ব্লটিং পেপারে মুড়িয়ে রাখুন। হাওয়াতেও শুকিয়ে নিয়ে বাতাস ঢোকে না এমন একটি কৌটোতে রেখে তার পর জিপলক ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ছ’মাস পর্যন্ত ভাল থাকবে।
ফ্রিজে সব্জি রাখারও কিছু নিয়ম রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
গাজর
হালুয়া হোক কিংবা কেক— সারা বছর গাজরের স্বাদ নিতে চাইলে সংরক্ষণের উপায়ও জানতে হবে। প্রথমে গাজরগুলি টুকরো করে কেটে দিন। তার পর দু’মিনিট মতো গরমজলে ভাপিয়ে নিন। তার পর বরফ জলে ভিজিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। গাজর ঠান্ডা হয়ে এলে গাজরের টুকরোগুলি আলতো করে মুছে নিন। এর পর একটি ট্রেতে গাজরগুলি ছড়িয়ে দিয়ে হাওয়ায় রেখে দিন। কয়েক ঘণ্টা পরে বাতাস ঢোকেন না এমন একটি বাক্সে গাজরগুলি রেখে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে ফ্রিজে।
পালং শাক
ডাল থেকে শাক ছাড়িয়ে গরমজলে ভাপিয়ে নিন। তার পর বরফ জলে সেগুলি ভিজিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। একটি থালায় শাকগুলি ছড়িয়ে খোলা বাতাসে রেখে দিন যত ক্ষণ না শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে এলে শাকগুলি ভাঁজ করে জিপলক ব্যাগের মধ্যে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ভাল থাকবে শাক।