বাগান সাজান নানারঙের ফুল দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা হল বাগান করার আদর্শ মরসুম। তাই অনেকেই বাগান করার শখপূরণ করেন এই ঋতুতে। বাড়ির বাগানে সবুজের সমারোহ দেখলে মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য। আর সেই সবুজের মাঝেই যদি রঙের মেলা বসে, তা হলে কেমন হয়? বাগান করবেন আর বাহারি ফুল গাছ পুঁতবেন না, তা তো হতেই পারে না। বর্ষার বাগানে থোকা থোকা ফুল না ফুটবে, সেই সুবাস ছড়িয়ে পড়বে বাড়িময়, তবেই তো হবে আসল বর্ষা উদ্যাপন। বর্ষায় বাগান সাজাবেন কোন কোন ফুলের গাছ দিয়ে?
রেনি লিলি
নামেই বোঝা যাচ্ছে এই ফুল বর্ষার। সারা বছর রেনি লিলি ফোটে। বৃষ্টি পড়লে এই ফুলের সৌন্দর্যে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। বর্ষায় এই গাছে গোলাপি রঙের ফুলের ভারে যেন নুয়ে পড়ে। ফুল ছোট হলেও এই গাছের পাতা কিন্তু বেশ বড়। তাই ফুল এবং পাতার সঠিক যত্ন প্রয়োজন এই মরসুমে।
বর্ষার বাগান ভরে উঠুক থোকা থোকা বাহারি ফুলে। ছবি: সংগৃহীত।
জুঁই
জুঁই ফুলের গন্ধে একটা আলাদা মাদকতা রয়েছে। বর্ষায় জুঁইয়ের গন্ধ নাকে এলে মন ভাল হয়ে যায়। শুধু তো ফুল নয়, জুঁইয়ের পাতাও কম আকর্ষণীয় নয়। এই গাছের ঘন সবুজ পাতা মন জুড়িয়ে দেয়। গরমেই ফুল আসতে শুরু করে গাছে। তবে বর্ষার জল পেয়ে গাছ ভরে যায় সাদা সাদা ফুলে। তাই বর্ষার বাগান জুঁই ফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ।
বলসাম
এই ফুলের গন্ধ এবং রূপ দু’টিই বাহারি। সাদা, গোলাপি, লাল, নানা রঙের ফুল পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে। বেশ ভাল লাগে দেখতে। বলসামের গাছ পোঁতার অন্তত মাস দেড়েকের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। গাছ খুব বড় হয় না। তাই মাটিতে না পুঁতে ছোট কোনও টবে রাখতে পারেন।
জবা
লাল ছাড়াও গোলাপি, হলুদ রঙের জবা হয়। যে কোনও মরসুমে জবা গাছ ভাল হয়। তবে বর্ষায় জবা ফুলের আলাদা সৌন্দর্য চোখে পড়ে। জবা গাছ ভাল করে বেড়ে ওঠার জন্য প্রচুর জলের দরকার। আর সে কারণে বর্ষায় জবা গাছ সবচেয়ে ভাল হয়।
চাঁপা
চাঁপা ফুলের বাহারি রং দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। সাদা আর গোলাপি আভা মেশানো এই ফুল বর্ষায় বাগানের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। বেশি হাওয়ায় অবশ্য এই গাছ নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাগানের এমন জায়গায় বসান, যেখানে হাওয়া তুলনায় কম আসে।