ছবি: প্রতীকী
নিজের একটা ঠিকানা হবে, এমন স্বপ্ন কমবেশি সকলেই দেখেন। তবে জমি কিনে তার পর বাড়ি করা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ। কিছু ক্ষেত্রে ব্যয়সাপেক্ষেও বটে। তার চেয়ে ফ্ল্যাট কেনার দিকেই বেশি ঝোঁক অধিকাংশের। তবে ফ্ল্যাট কিনব বললেই কেনা সহজ নয়। তাড়াহুড়ো করে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে ফল ভুগতে হয় অনেককেই। তাই সমস্যা এড়াতে না চাইলে ফ্ল্যাট কেনার আগে কয়েকটি বিষয় যাচাই করে নেওয়া জরুরি। তাতে গোটা প্রক্রিয়াটা অনেক বেশি মসৃণ হবে।
বাজেট
যে কোনও কিছু কেনার আগে একটা বাজেট ঠিক করা জরুরি। ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে এই নিয়ম আরও বেশি করে প্রযোজ্য। বাজেট ঠিক করা থাকলে সেই অনুযায়ী ফ্ল্যাট খুঁজুন। ফ্ল্যাট পছন্দ হওয়ার পর যদি দেখেন তার দাম সাধ্যে কুলোচ্ছে না, তা হলে উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। সেটা ঠিক হবে না। বরং সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ করার চেষ্টা করুন।
প্রোমোটারের ব্যাপারে জানুন
নতুন ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা ছাড়া উপায় থাকে না। ফ্ল্যাট চূড়ান্ত করার আগে এক বার প্রোমোটারের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে নিন। তাঁর দায়িত্বে থাকা অন্য প্রোজেক্টগুলির বিষয়ে জেনে নিন। তিনি মানুষ হিসাবেও কেমন, তা-ও জেনে রাখা জরুরি।
ফ্ল্যাটের মান যাচাই করুন
ফ্ল্যাট পছন্দ হলেই সঙ্গে সঙ্গে টাকাপয়সা মিটিয়ে দেবেন না। বরং কিছু দিন নির্মীয়মাণ বহুতল তৈরির কাজের সময়ে সেখানে উপস্থিত থাকুন। কাজের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখুন। পছন্দ করা ফ্ল্যাটের দেওয়াল, ছাদ, মেঝে মজবুত কি না, তা দেখে নিন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
ছবি: প্রতীকী
নিজে মেপে নিন
ফ্ল্যাটের মাপ যত স্কয়ার ফুট বলা হচ্ছে, সেটাই বিশ্বাস করে নেবেন না। কারণ ফ্ল্যাটে জায়গা নিয়ে কারচুপি করার কিন্তু সুযোগ রয়েছে। তাই মুখের কথায় বিশ্বাস করলে ঠকতে হতে পারে। বরং ফ্ল্যাট কেনার আগে স্কয়ার ফুট যাচাই করে নিন।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
এমন জায়গায় ফ্ল্যাট কেনা উচিত, যেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। সে ক্ষেত্রে যদি খানিকটা বেশি দাম দিতে হয়, তা-ও ঠিক আছে। ফ্ল্যাট কেনার সময়ে দেখে নিন সেখান থেকে মেট্রো স্টেশন, বাস স্টপ কত দূরে। কাছাকাছি কোনও বাজারদোকান, হাসপাতাল আছে কি না দেখুন। এ সব না দেখে তা়ড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে পরে মুশকিলে পড়তে পারেন।