বাতিল জিনিস দিয়েই গাছের যত্নআত্তি। ছবি: শাটারস্টক।
গাছ ভালবাসেন? বাড়িতে ছোট বাগানও করেছেন, নিয়মিত জলও দিচ্ছেন, তবু মনের মতো ফল মিলছে না। কয়েক দিনেই হয় গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, আর না হয় গাছগুলিতে ফুল ধরছে না। বর্ষায় আবার গাছেদের বাড়তি যত্নআত্তির প্রয়োজন হয়। জানেন কি আপনার গাছের স্বাস্থ্য ফেরাতে সহায় হতে পারে রান্নাঘরের বাতিল হওয়া জিনিসগুলিই। ভাল সার হিসাবে কাজ করতে পারে এ রকম কয়েকটি জিনিসের রইল হদিস।
সব্জির খোসা: আলু, পেঁয়াজ, পটল, ঝিঙে, গাজর, বিট রোজের রান্নায় ব্যবহৃত সব্জির খোসাগুলি ফেলে না দিয়ে একটি পাত্রে আলাদা করে জমিয়ে রাখুন। এই খোসা খুবই ভাল উৎকৃষ্ট সার হতে পারে গাছের জন্য।
পুরনো সব্জি: অনেক সময়ে হয়, যখন ফ্রিজে রাখা দীর্ঘ দিনের কাঁচা সব্জিগুলি আর রান্নায় ব্যবহার করা যায় না। সেগুলি ফেলে না দিয়ে সার তৈরির পাত্রে রেখে দিন। কিছু দিন রাখার পর এটিও ভাল সার হবে।
কফির গুঁড়ো: কফিতে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে, যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সার হিসাবে সরাসরি মাটিতে দিতে পারেন। বাগান ভালবাসেন যাঁরা, তাঁরা রীতিমতো এই কফির গুঁড়ো সংগ্রহে রাখেন।
ব্যবহৃত টি ব্যাগ ও চা পাতা: চায়ে ব্যবহৃত টি ব্যাগ গাছের সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। চা ছাঁকার পর যে অবশিষ্ট চা পাতা পড়ে থাকে, সেটাও সার হিসাবে খুব ভাল। তবে দুধ-চায়ের পাতা হলে সেগুলি গাছের গোড়ায় দিতে যাবেন না।
গাছের স্বাস্থ্য ফেরাতে সহায় হতে পারে রান্নাঘরের বাতিল হওয়া জিনিসগুলিই। ছবি: শাটারস্টক।
কার্ডবোর্ড বাক্স: বাড়িতে অনলাইনে কিছু এলেই পাওয়া যায় কার্ডবোর্ডের বাক্স। সেগুলি ফেলে না দিয়ে একটি আলাদা জায়গায় রেখে দিন। বাক্সগুলি ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে সার তৈরির পাত্রে ফেলুন। তবে ছাপানো কালির অংশটা কেটে বাদ দিয়ে দিতে পারলে ভাল। সারের বেশির ভাগ উপাদানগুলি ভেজা থাকে, তাই আর্দ্রতা শুষে নেওয়ার জন্য শুকনো উপাদানেরও প্রয়োজন হয়।
ডিমের খোসা: ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালশিয়াম। এটি গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সার তৈরির জন্য এটি ভীষণ ভাল উপাদান। ভাল করে ডিমের খোসা ধুয়ে নিন, তার পর একটি মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। আপনার তৈরি করে রাখা সারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।