সুবিধাজনক হলেও মেশিনে কাচার ব্যাপারেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। ছবি: সংগৃহীত
সারা সপ্তাহ কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই সংসারের কাজ করার সময় পান না। সব কাজ তুলে রাখেন একটিমাত্র ছুটির দিন রবিবারে করবেন বলে। সারা সপ্তাহের বাজার, গোটা সপ্তাহ জুড়ে ব্যবহার করা জামাকাপড় কাচা, ঘর গোছানোর মতো কিছু ছুটির দিনে সারবেন বলে পরিকল্পনা করে রাখেন অনেকে। তবে অন্য কাজগুলি এক দিনে করা গেলেও, সারা সপ্তাহের ব্যবহৃত জামাকাপড় এক দিনে কেচে ফেলা কিন্তু মুখের কথা নয়। ওয়াশিং মেশিনে কাচলে তা-ও অনেকটা কাজ এগিয়ে রাখা সম্ভব। তবে ওয়াশিং মেশিনে কাচা সুবিধাজনক হলেও মেশিনে কাচার ব্যাপারেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সব জিনিস কিন্তু ওয়াশিং মেশিনে কাচা যায় না।
ছবি: সংগৃহীত
কোন জিনিস ওয়াশিং মেশিনে কাচা যায় না?
১) শৌখিন অন্তর্বাস ওয়াশিং মেশিনে না কাচাই ভাল। অন্তর্বাসের গায়ে এমনিতেই ওয়াশিং মেশিনে না কাচার কথা লেখা থাকে। এই পোশাকগুলিতে হুক থাকে, যা মেশিনে বা তার মধ্যে থাকা অন্য জামাকাপড় নষ্ট করে দিতে পারে।
২) দৌড়ানোর জুতো কখনও মেশিনে কাচবেন না। এতে জুতো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার মেশিনে জুতো কাচলে মেশিনও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩) ট্রাউজার্স কাচার আগে ভাল করে দেখে নিন তাতে খুচরো পয়সা আছে কি না। যদি থাকে, তা হলে কাচার আগে পকেট থেকে বার করে রাখুন। নয়তো কয়েন ওয়াশার ড্রেন পাইপের মধ্যে আটকে যেতে পারে। আবার মেশিনের কাচের দরজায় ঘষা লেগে কাচের দরজা নষ্ট করে দিতে পারে।
৪) কিছু কিছু জিনিস এত ছোট হয় যে, সেগুলি ওয়াশিং মেশিনের ভেন্টে আটকে যেতে পারে। মোজা, রুমালের মতো ছোট ছোট জিনিস ওয়াশিং মেশিনে না দিয়ে বরং হাতে কেচে নিতে পারেন।
৫) প্রচুর জামাকাপড় একসঙ্গে কখনও কাচবেন না। এতে বেশি নোংরা পোশাক যেমন ভাল করে পরিষ্কার হয় না, তেমনই অনেক বেশি জামাকাপড় দিলে মেশিন ভার নিতে না পেরে ধীরে ধীরে বিকল হয়ে যেতে। তাই একসঙ্গে বেশি জামাকাপড় না কাচাই ভাল।