প্রতীকী ছবি
অতিমারি আবার থাবা বসিয়েছে দৈনন্দিন জীবনে। ফলে সাবধানে থাকতে গিয়ে নিতেই হচ্ছে নানান সতর্কতা। সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে বছরের শুরুতেই যদি ঘরবন্দি থেকতে হয়, তবে ঘরের চেহারায় আনুন অল্প কিছু পরিবর্তন। কারণ, বেশ কিছু দিন একই চেহারার ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতে শরীর-মন অবসন্ন হয়ে পড়তে পারে। আশপাশে যদি মন ভাল করার মতন কিছু পরিবর্তন ঘটে, তবে তা আপনাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে চাঙ্গা রাখবে ।
১। ঘরে থাকুক নরম আলো। শরীর আর মনের উপরে আলোর প্রভাব স্বীকার করেছেন বিশ্বের তাবড় চিকিৎসকরাও। ফলে চড়া বা অতিরিক্ত আলো যেন আপনার নিভৃতবাসকে বিঘ্নিত না করে।
২। মন ভাল রাখতে নিভৃতবাসে জানলার বাইরে তাকিয়েই কাটাতে হতে পারে অনেকটা সময়। ফলে জানলার পর্দা হয়ে ওঠে সর্বক্ষণের সঙ্গী। তাই ঘরের জানলায় পর্দা থাক উজ্জ্বল রঙের।
৩। গায়ে দেওয়ার লেপ কম্বল বাঙালিরা অন্তত ওয়াড় না পরিয়ে ব্যবহার করেন না। খাটে থাকা এই সব কাঁথা-কম্বলের ওয়াড় হোক পছন্দের প্রিন্টের কিংবা সুন্দর রঙের।
৪। আপনার ঘরে যদি খাটই হয় ব্যবহারের মতো একমাত্র আসবাব, তবে খাটের পাশের ছোট টেবিলে নিয়মিত রাখুন পছন্দের ফুল। মনোরম আলো রাখলেও তা হতে পারে মন ভাল করার উপায়।
৫। শোওয়ার ঘর হোক ছিমছাম পরিপাটি। অপরিষ্কার কিংবা প্রচুর জিনিসে ভর্তি থাকলে নিভৃতবাসে মন টিকবে না একেবারেই। ফলে অতিরিক্ত জিনিসপত্র ঘরে না রাখাই উচিত।
৬। পছন্দের কোনও দৃশ্যের ছবি কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো কোনও মুহূর্তের ছবি টাঙিয়ে রাখুন খাটের সামনে। মন ভাল রাখতে আর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন নিশ্চিত।