ক্রমশ কমে যাচ্ছে হিমালয়ের বরফ। ছবি সৌজন্য: ইন্ডিয়াহাইকস
শীতের ছুটিতে বরফ দেখতে হিমালয়ে ছোটার শখ এবং অভ্যাস অনেকেরই আছে। তা সে দার্জিলিং হোক, কিংবা কাশ্মীর। কিন্তু বাড়ি থেকে অত দূর ছুটেও আর বরফের দেখা না-ও পেতে পারেন। হালে নাসা-র তরফে প্রকাশ করা তথ্য এমনটাই বলছে।
২০২০ সাল শুধু কোভিডের জন্যই ভয়ঙ্কর নয়, একই সঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়নের নিরিখেও এই বছর টেক্কা দিয়েছে অনান্য বছরকে। এবং আগামী বছরগুলোয় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা।
পরিস্থিতি ঠিক কেমন? নাসা-র পরিসংখ্যান বলছে, যে হারে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে বরফ গলে যাওয়ার হার আগামী দিনে আরও বাড়বে। দু’ধরনের বরফ পৃথিবীতে রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের বরফ আর মাটির উপর জমে থাকা বরফ। এই মাটির উপর থাকা বরফের মধ্যে রয়েছে পাহাড়ে জমা বরফও। সেই বরফ গলনের হারও দ্রুত বাড়ছে। কম উচ্চতায় জমা বরফও গলছে পাল্লা দিয়ে।
ক্রমশ আরও উপরে উঠে যাচ্ছে হিমালয়ের অধিকাংশ জায়গার ‘স্নো লাইন’। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গ, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড বা কাশ্মীরের যে যে জায়গায় গেলে পর্যটকরা বরফ দেখতে পেতেন, কয়েক বছর পর থেকে হয়তো আর সে সব জায়গায় বরফ দেখতে পাবেন না। বরফ দেখতে হলে যেতে হবে আরও বেশি উচ্চতায়।
তাই এখনই আরও বেশি করে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন নাসা-র গবেষকরা। না হলে আরও বিপদ বাড়বে। ভালবাসার বরফের পাহাড়, ন্যাড়া-কালো-গরম পাহাড়ে পরিণত হতে বেশি দিন লাগবে না।
আরও পড়ুন: আপনি কী কিনছেন অনলাইনে, অজান্তে সেই তথ্য চলে যায় হোয়াটসঅ্যাপে
আরও পড়ুন: চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন, অথচ ওজনও বাড়বে না