ছানার জল রূপচর্চাতেও কাজে লাগে। ছবি: সংগৃহীত।
অনেকের ডায়েটেই রোজ ছানা থাকে। নিরামিষের দিনে কখনও ছানার কোফতা, কখনও আবার ডালনাই তো বাঙালির ভরসা। বাড়িতে বানানো টাটকা ছানার স্বাদই আলাদা। ছানায় ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড় শক্ত রাখে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য ছানা খাওয়া বেশ উপকারী। ফসফরাস থাকার ফলে ছানা খাবার হজমেও সাহায্য করে। ছানায় প্রোটিনও থাকে ভাল মাত্রায়। তবে শুধু ছানাতেই নয়, ছানার জলেও রয়েছে অনেক গুণাগুণ। দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করার পরে সেই জল সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। খেতে ভাল না হলেও, এতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি উপকারিতা।
ছানার জলে অ্যালবুমিন ও গ্লোবিউলিন নামে দু’টি প্রোটিন থাকে। এ ছাড়াও এতে থাকে কার্বহাইড্রেট ও ল্যাকটোজ়। ছানায় রিবোফ্ল্যাভিন নামে একটি ভিটামিন থাকে, যা শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং শরীরে শক্তির জোগান দেয়। এ ছাড়াও শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করলে, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, নিম্ন রক্তচাপ থাকলেও ছানার জল খেতে পারেন। পেশি শক্ত করতে ও রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ছানার জল।
কী ভাবে কাজে লগাবেন ছানার জল?
১) রুটি বানানোর সময়ে ছানার জল দিয়েই আটা মেখে নিতে পারেন।
২) যে কোনও ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কোনও কিছু রান্না করলে টম্যাটো, তেঁতুল ও দইয়ের বদলে অল্প মিশিয়ে নিতে পারেন ছানার জল।
৩) স্মুদি কিংবা স্যুপ বানানোর সময়ে অল্প ছানার জল মেশাতে পারেন।
৪) বেক করার সময়ও ছানার জল কাজে আসে।
৫) রূপচর্চার ক্ষেত্রেও ছানার জল খুবই উপকারী। ছানার জল দিয়ে নিয়মিত মুখ ধুলে ত্বক মোলায়েম ও সতেজ থাকে। মুখের অতিরিক্ত তেল থেকে মুক্তি পেতে বেসন অথবা আটার সঙ্গে ছানার জল মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। গরমে ট্যানের সমস্যা দূর করতেও ছানার জলের জুড়ি মেলা ভার। রোদ থেকে এসে তাই আলু ও শশার রসের সঙ্গে ছানার জল মিশিয়ে নিয়মিত মুখে লাগান। কালো ছোপ দূর হবে।