এ ভাবেই ব্যবহার করুন ফেলে দেওয়া বাক্স।
জুতো কেনার শখ থাকুক বা না থাকুক, বছরে অন্তত এক বার তো জুতো কেনা হয়ই। আর পরিবারের সমস্ত সদস্যের একাধিক জুতো মিলিয়ে জুতোর সংখ্যা নেহাত কমও নয়। তার পরে জুতো শু ক্যাবিনেটে ঢুকে পড়লে বাক্সের ঠিকানা হয় আবর্জনায়। কিন্তু সামান্য বুদ্ধি খাটালে সে সব বাক্সকেই বদলে দেওয়া যায় নতুন রূপে।
বাহারি টিসু বক্সের দাম এমনিতেই বেশি। কিন্তু শক্তপোক্ত জুতোর বাক্স দিয়েই যদি তৈরি করে ফেলা যায় টিসু বক্স? তা হলে এমন বাক্স বেছে নিন, যার ঢাকা পুরোপুরি খোলা যায়। এ বার বাক্সের মূল বডি ভাল করে রঙিন কাগজে মুড়ে নিন। ঢাকার উপরে টিসু বার করার মতো করে খানিকটা অংশ কেটে নিন। সেটি চৌকো কিংবা গোল... যেমন আকৃতির ইচ্ছে, কাটতে পারেন। ঢাকার উপরেও এ বার আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিন কাগজ। চাইলে বডিতে এক রকম এবং ঢাকায় অন্য ধরনের কাগজ লাগিয়ে কনট্রাস্টও তৈরি করতে পারেন। আবার ভাল করে পোস্টার কালার কিংবা স্প্রে পেন্ট করে নিতে পারেন। তার উপরে ডিজ়াইন করতে পারেন থ্রি-ডি কালার দিয়ে। এমনকি ইচ্ছে হলে লেস, জরি, পুঁতি, ঝিনুক, কড়ি... লাগিয়ে নিতে পারেন যে কোনও কিছু। তবে এগুলি লাগানোর জন্য সাধারণ আঠার পরিবর্তে গ্লু গানের সাহায্য নিতে পারেন। তাতে সেগুলি তাড়াতাড়ি খুলে যাবে না। তবে যে ডিজ়াইনই তৈরি করুন, তা যেন মানানসই হয়। অনেক সময়ে ওভার লিফ বক্সেও জুতো আসে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে বক্সের বডি ও ঢাকা আলাদা নয়। সে ধরনের বাক্স ফের ব্যবহার করতে পারেন মোজা কিংবা অন্তর্বাস অর্গানাইজ়ার হিসেবে। বাতিল হয়ে যাওয়া ওড়না, অব্যবহৃত ব্লাউজ় পিস কিংবা কোনও পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পুরো বাক্স মুড়ে নিন। পিচবোর্ডের ছোট ছোট টুকরো কেটে ডিভাইডার তৈরি করুন। বাক্সের মাঝে সেগুলি বসিয়ে দিন আঠা দিয়ে। শুকিয়ে গেলে বাক্স সাজিয়ে নিতে পারেন ইচ্ছে মতো। প্রত্যেকটি খোপের মাঝে মোজা, রুমাল, অন্তর্বাস জাতীয় জিনিস যা সহজে হারিয়ে যেতে পারে, সেগুলি সাজিয়ে রাখুন। বেশ ক’টি বাক্স এ ভাবে সাজিয়ে এক-একটিতে এক-এক রকমের জিনিস রাখতে পারেন।
বাড়িতে পড়ে থাকা জুতোর বাক্সের ভোল এ ভাবে বদলে দিতে পারেন নিজেই।