ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল: বেতনের অঙ্কে ভারতের বাজারে এই মুহূর্তে প্রথম স্থানে রয়েছে এই চাকরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদের বার্ষিক বেতন মোটামুটি ভাবে শুরু হয় ৩ লক্ষ টাকা থেকে। মাঝারি পর্যায়ে তা ২৫ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছয়। অভিজ্ঞতা আরও বাড়লে ৮০ লক্ষ পর্যন্ত বেতন পান ম্যানেজাররা।
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার: এদের নিকনেম ‘মানি ম্যান’। কোম্পানির আয় বাড়াতে সচেষ্ট হন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কাররা। নিজেরাও আয় করেন দু’হাতে। এঁদের বার্ষিক বেতন শুরুতেই প্রায় ১২ লক্ষ টাকা মতো হয়। পরে তা ৫০ লক্ষ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট: তৃতীয় স্থানে রয়েছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা। এঁদের প্রথম দিকের বেতন থাকে মোটামুটি সাড়ে ৫ লক্ষের কাছাকাছি। মধ্য পর্যায়ে তা পৌঁছয় ১৩ লক্ষের কাছে। অভিজ্ঞতা আরও বাড়লে বেতন হয় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
ওয়েল অ্যান্ড ন্যাচরাল গ্যাস সেক্টর প্রফেশনাল: এই সেক্টরে কাজ করলে মাসের শেষে আপনার পকেট খুশি থাকবে নিশ্চিত। এক্সপেরিয়েন্সড হলে বছরে ১৫-২০ লক্ষ টাকা হেসে খেলে আয় করতে পারবেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
বিজনেস অ্যানালিস্ট: ব্যবসার এই প্রতিযোগিতার যুগে বিজনেস অ্যানালিস্টদের কদর উচ্চগামী। শুরুতেই বছরে ৬ লক্ষের কাছাকাছি আয় করতে পারবেন আপনি।
মেডিক্যাল প্রফেশনালস(চিকিৎসক): জেনারেল প্র্যাকটিস করলে বছরে ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। জেনারেল সার্জন হলে ৮ লক্ষ, মেডিক্যাল ডক্টর হলে ১৭ লক্ষের কাছাকাছি আয় করতে পারবেন আপনি। তবে এ ক্ষেত্রে পুরোটাই নির্ভর করছে হাতযশ এবং পসারের উপর।
এভিয়েশন প্রফেশনাল(বিমান চালক): তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে এই চাকরি। আকাশে উড়তে ভালবাসলে বেছে নিতে পারেন এই চাকরি। কমার্শিয়াল পাইলট হলে বছরে বেতন ২০ লক্ষ টাকা, হেলিকপ্টার চালক হলে ১৮ লক্ষ এবং এয়ারক্র্যাফ্ট মেনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়র হলে ১০ লক্ষের কাছাকাছি রোজগার করতে পারবেন।
ল প্রফেশনাল(আইনজীবী): কর্পোরেট আইনজীবী হলে বছরে আয় করতে পারেন ৬ লক্ষ ১০ হাজারের কাছাকাছি। সিনিয়র অ্যাটর্নি হলে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ।
মার্কেটিং: মার্কেটিংকে এক ধরনের শিল্পও বলা যায়। যদি এই শিল্পের প্রতি সত্যিই ভালবাসা থাকে তা হলে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন। রোজগারও হবে মানানসই। শুরুতেই ২ লক্ষ, মধ্য কেরিয়ারে ৫ লক্ষ, অভিজ্ঞ হলে ১০ লক্ষের কাছাকাছি আয় করবেন চোখ বুজে।
আইটি ও সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়র: দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও পরিচিত চাকরিগুলির অন্যতম এই চাকরি। শুরুতেই বেতন পাওয়া যাবে ৪ লক্ষ টাকার মতো। অভিজ্ঞ একজন ইঞ্জিনিয়র বেতন পান প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি।