—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির বিভিন্ন কারণের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বায়ুদূষণ। বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) কী ভাবে শরীরের ভিতরে ঢুকে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি তৈরি করছে এবং তার হাত থেকে বাঁচতে জনসাধারণ, সমাজ ও সরকারের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, সে কথাই উঠে এল দেশ-বিদেশের হৃদ্রোগ চিকিৎসক, পরিবেশবিদ-সহ অন্যদের কথায়। পাশাপাশি, হৃদ্রোগের চিকিৎসায় কৃত্রিম মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) আগামী দিনে কতটা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে, তা নিয়েও চলল আলোচনা।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত কলকাতায় ৭৫তম বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে ‘কার্ডিয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া’ (সিএসআই)। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার দূষণের কারণে হৃদ্রোগ এবং সেই অসুখের ঝুঁকি বুঝতে কৃত্রিম মেধা ব্যবহারের বিষয় নিয়ে চলল আলোচনা। সম্মেলনের মুখ্য কোঅর্ডিনেটর, চিকিৎসক ধীমান কাহালি বলেন, ‘‘বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) শরীরে ঢুকে শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায়। আবার, আরও সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ১ বা ১.৫) ঢুকে তা সরাসরি ফুসফুসকে আক্রমণ করে। অদৃশ্য হত্যাকারী এই ধূলিকণার কারণে বিশ্ব জুড়েই প্রতি বছর প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছেন।’’ তিনি জানান, অনেক সময়েই কমবয়সিদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে কোনও আনুষঙ্গিক অসুখের (কোমর্বিডিটি) খোঁজ মেলে না। আসলে, সেগুলির কারণই হল এই দূষণ।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক মৃণালকান্তি দাস জানান, হৃদ্রোগের ঝুঁকি বুঝতে ইসিজি, হল্টার মনিটর-সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধা ভাল কাজ করছে। তবে চিকিৎসা-ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধার ব্যবহার ধীরে হলেও আগামী দিনে আরও বাড়বে এবং সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে বলে জানান ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক সাগ্নিক রায়, পরিবেশবিদ স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী, সিএসআই-এর সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক দেবব্রত রায় প্রমুখ।