প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
আমরা অনেকেই সারা দিনে মুখ চালানোর জন্য কিছু না কিছু খেতে থাকি। সব সময় যে খিদে পায়, তা নয়। মনের খিদে, চোখের খিদে— নানা রকম কারণে হাবিজাবি খাওয়ার হয়ে যায় দিনভর। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমন খাবার খেয়ে ফেলি আমরা যাতে অনেক পরিমাণে চিনি বা রিফাইন্ড সুগার রয়েছে। মিষ্টি ছাড়াও বিস্কুট, কুকি, কেক, ডোনাট, পেস্ট্রি, চকোলেট, ক্যান্ডি বা প্যাকেটের যে কোনও খাবারের মাধ্যমে বাড়তি চিনি চলে যাচ্ছে আমাদের শরীরে। সেটা কতটা ক্ষতিকর, তা অনেক সময় আমরা নিজেও বুঝতে পারি না।
তাকরা-পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়াকরের মতে আমাদের কিছু অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে চিনির প্রতি একটা আসক্তি তৈরি হয়। এবং বেশি পরিমাণে তা আমাদের শরীরে গেলে মাথা ধরা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডিহাইড্রেশন এবং ঘুমের সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি রুজুতা তাঁর ইনস্টাগ্রামে এই বিষয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। মিষ্টি কোনও জিনিস খাওয়ার প্রবণতা কম করতে রুজুতা তিনটে উপায় বাতলে দিয়েছেন।
মোরব্বা
বাড়িতে তৈরির মোরব্বার আচার খেতে বলছেন পুষ্টিবিদ। আচারে প্রচুর প্রোবায়োটিক থাকে। তাই হজমশক্তি বাড়ায়। আবার মোরব্বার খেলে মিষ্টি খাওয়ার স্বাদও মিটবে।
বিভিন্ন রকম ডাল
রুজুতার মতে, রোজকার খাবারে নানা ধরনের ডাল রাখলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমবে। ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর প্রোটিন থাকে। এতে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। তাই খিদেও কম পায়।
বাজরা, জোয়ার, রাগি
বাজরা, জোয়ারের মতো শস্য গম বা চালের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই গমের আটা ব্যবহার না করে বাজরা, রাগি, জোয়ারের তৈরি রুটি, ধোসা, ইডলি বা পরোটা খাওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন রুজুতা।