প্রতীকী ছবি।
গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৪২ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। সংখ্যাটা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তবেই এই রোগটিকে আয়ত্তে রাখা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য কেবল বাইরে থেকে ওষুধ খেলেই তো হবে না! প্রথম থেকেই যদি খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে আমূল পরিবর্তন আনা যায়, তা হলে এই রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যে সব খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকে, ডায়াবিটিসে সেই সব খাবারই খাওয়া উচিত। তাই রোজ পাতে রাখুন এই রকম কয়েকটি সব্জি।
গাজর
গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সব্জি। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন কে ১, ভিটামিন এ ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। গাজরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ ১৬, যা অত্যন্তই কম। ফলে এই সব্জি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বরং এটি টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়। তাই রোজ পাতে গাজর রাখুন। এটি সিদ্ধ করে বা স্যালাডের মতো করে খান।
ব্রকোলি
ডায়াবিটিসে ভুগলে রোজ ডায়েটে রাখুন ব্রকোলি। এতে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন সি, ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ একাধিক পুষ্টি উপাদান। ব্রকোলিতে থাকা যৌগ সালফোরাফেন ডায়াবিটিসের আক্রান্ত রোগীর রক্তনালিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। এতে থাকা গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণও মাত্র ১৫। স্যালাড কিংবা স্যুপের সঙ্গে রোজ খেতে পারেন এই সব্জি।
প্রতীকী ছবি।
শসা
শসাতে জলের পরিমাণ খুবই বেশি থাকায়, তা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে শসাতে থাকা উপাদান মানবদেহে ইনসুলিন তৈরিতে সহায়তা করে। মাত্র ১৪ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত এই সব্জি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ঢেঁড়স
নাম ঢেঁড়স হলে কী হবে, আদতে ঢেঁড়সে কী নেই! পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম, ফাইবার আরও কত কী! আর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণও মাত্র ১৭-২০। তাই রোজ পাতে ঢেঁড়স রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তরকারি বা সিদ্ধ যে কোনও ভাবেই খেতে পারেন এই সব্জি।