এইচডিইউ চালু হতেই লম্বা লাইন জঙ্গিপুরে

চালু হতেই ঠাঁই নেই রব! ছয় শয্যার ‘হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট’ এক মাস হল চালু হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। আর এর মধ্যেই সঙ্কটজনক রোগীদের নিয়ে লম্বা লাইনে ভিড় করেছেন পরিজনেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৭
Share:

চালু হতেই ঠাঁই নেই রব!

Advertisement

ছয় শয্যার ‘হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট’ এক মাস হল চালু হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। আর এর মধ্যেই সঙ্কটজনক রোগীদের নিয়ে লম্বা লাইনে ভিড় করেছেন পরিজনেরা। আবদার রাখাই দায় হয়ে উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। আইসিইউ তথা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের ঠিক আগের স্তর এইচডিইউ তথা হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট। সঙ্কটজনক ও অসমর্থ রোগীদের চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে রাখতে এই ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে এই নিয়ে কান্দি ও জঙ্গিপুর, এই দুটি মহকুমা হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু করা গিয়েছে।

এই ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীরা নিঃখরচায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ ব্যবস্থায় সুবিধে পান। ছ’জন রোগীর সর্বক্ষণের চিকিৎসার জন্য চার জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিতসক ও চার জন নার্স থাকেন। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ছয় করে করা হবে বলেও খবর। ইউনিটে রয়েছে সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, অক্সিজেন। ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন লক্ষ টাকার জরুরি ওষুধও কিনে আনা হয়েছে এই ইউনিটের জন্য। স্বভাবতই মহকুমা পর্যায়ে ঝাঁ চকচকে এই চিকিৎসা পরিষেবা নিতে চাইছেন অনেকেই।

Advertisement

তিনশো শয্যার জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন প্রায় সাড়ে চারশো রোগী। হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল জানালেন, আপাতত ছ’টি শয্যা দিয়ে চালু হলেও পাশেই আরও একটি ঘরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে সেখানে আরও ছ’টি শয্যা চালু করা যায়। সাধারণ ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সুপারিশ মেনেই রোগীদের রেফার করা হয় ওই ইউনিটে। ইতিমধ্যেই ডায়ালিসিস ইউনিট চালুর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সমস্যা রয়েছে আরও। কেমন? এখনও লোডশেডিং মুক্ত করা যায়নি এই জরুরি ইউনিটটিকে।

চালুর পরপরই এই ইউনিটে রেফার করা হয়েছিল সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রাণবন্ধু মালকে। দু’দিন এই পরিষেবায় থেকে আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, সরকারি হাসপাতালে নিঃখরচায় এই ধরণের পরিষেবা জরুরি ছিল। এতে সঙ্কটজনক রোগীদের বাইরে যাওয়ার হয়রানি অনেকটাই কমবে। ঝাঁ চকচকে এই ইউনিটের চাহিদা স্বাভাবিক কারণেই বেড়েছে। জঙ্গিপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার কংগ্রেসের বিকাশ নন্দের দাবি, এই হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের মতো উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পুর্বতন সাংসদ প্রণব মুখোপাধ্যায় বহু আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকে দিয়ে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করান। সে টাকা দীর্ঘ দিন হাসপাতালে পড়ে থাকার পরে রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয় চিকিৎসক নেই। তাই জঙ্গিপুরের মতো মহকুমা হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট চালু করা যায়নি। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের অন্য কোনও হাসপাতালে তা চালু করা যেতে পারে। কিন্তু জঙ্গিপুরের জন্য বরাদ্দ অর্থ অন্য হাসপাতালের জন্য দিতে রাজি হয়নি ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফলে সে টাকা ফিরে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement