বয়স একটা সংখ্যা মাত্র
বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। সময়ের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে যে অভিজ্ঞতা তৈরি হয় তাকেও বয়স বলা যায়। বাকি কোন বয়সে কী করা উচিত বা উচিত নয়, তার সবটাই মানুষের তৈরি, সমাজের তৈরি। তাই পৃথিবীতে বাস করার সময় বেড়ে চললেও, বয়সের ছাপ মনে ফেলা চলবে না।
এ তো গেল মন। কিন্তু আরও একটা সমস্যা রয়েছে। টানটান উজ্জ্বল মুখ আয়নায় দেখতে কে না পছন্দ করে! তাই শরীরেও বয়সের ছাপ পড়তে দেওয়া যাবে না।
শুধু বাজার থেকে অ্যান্টি এজিং ক্রিম নয়। সুন্দর মুখ রাখতে ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই জেনে নেওয়া যাক কোন কোন পানীয় খেলে বয়স বাড়বে, কিন্তু ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সতেজ।
গাজর চোখের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে
দুধ খান। দুধে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম থাকায় ত্বক ভাল থাকে। তবে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে না খাওয়াই ভাল। নিয়ম করে সয়া মিল্ক খেতে পারেন। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়বে না। এ ছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকবে। রোজ অন্তত এক কাপ গ্রিন টি খান। শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করে গ্রিন টি। এ ছাড়া স্ট্রেসমুক্তও রাখে। ফলে ত্বক সতেজ থাকে।
আরও পড়ুন: মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে? মৃত্যুভয় ও হতাশা কী ভাবে কাটাবেন?
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খেলেই শরীর তরতাজা লাগে। কিন্তু ত্বকের জন্যও কফি ভাল। ত্বকের ক্যানসার ও অন্যান্য রোগ এড়ানো যায়। তবে বেশি মাত্রায় ক্যাফিন গ্রহণ করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হয়। গাজর চোখের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু তা ছাড়াও গাজরের রস নিয়মিত খেলে ত্বক ভাল থাকে।বিটে প্রাকৃতিক নাইট্রেট থাকে যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে বিটের রস খান। শরীর সুস্থ থাকবে এতে। ত্বক ভাল রাখতে অনেকেই মুখে দই মাখেন। পেট ঠান্ডা রাখতে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে এক গ্লাস করে ঘোল খান। এতে ত্বকের কোমলতাও বজায় থাকে।
নিয়ম করে সয়া মিল্ক খেতে পারেন।
রোজ সকালে এক গ্লাস লেবু মধুর জল খেলে মেদ এড়ানো যায়। আবার এই পানীয় শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করতেও সক্ষম। সর্বপরি বেশি করে জল খান। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই অনেকটা জল খান। শরীরকে সব সময়ে হাইড্রেটেড রাখুন।