প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বর্ষাকাল মানেই সর্দি-কাশি কিংবা পেটের অসুখের সমস্যা। শরীর ভাল রাখতে এই সময় খাবারের পরিচ্ছন্নতার প্রতি আলাদা করে নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু কী ভাবে খাবারের যত্ন নিলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, এটাই সাধারণত আমরা বুঝে উঠতে পারি না। কাজেই সুরক্ষায় কিছু না কিছু ঘাটতি থেকেই যায়। আর তার ফাঁক দিয়েই এসে পড়ে মরসুমি অসুখ। সুরক্ষার এই ঘাটতি মেটাতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম।
খাবারের যত্ন নিন
শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রথমেই খাবারের যত্ন নেওয়া জরুরি। ফল ও শাক-সব্জি ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে তবেই রান্না করুন। কোনও অবস্থাতেই ঠান্ডা খাবার খাবেন না। খাবার গরম করে নিয়ে খান। রান্না করে রাখা খাবার ২ ঘণ্টার বেশি ঘরের তাপমাত্রায় রাখবেন না। রান্না করে রাখা খাবার কিংবা যে খাবার তাড়াতাড়ি পচে যায়, সেগুলি ফ্রিজে ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কম তাপমাত্রায় রাখুন।
প্রতীকী ছবি।
রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন
খাবারের সুরক্ষার জন্য রান্নাঘরের পাশাপাশি রান্নায় ব্যবহৃত সামগ্রীও ঠিক মতো পরিষ্কার করা দরকার। নিয়মিত রান্নাঘর স্যানিটাইজ করুন। রান্নাঘরের মেঝে জীবাণুমুক্ত রাখতে গরম জল ও জীবাণুনাশক মিশিয়ে ভাল করে মুছুন। যে থালা বা বাসনে খাবেন সেটাই যদি পরিষ্কার না থাকে, তা হলে কিন্তু মুশকিল! তাই বাসন পরিষ্কার করে তুলে রাখার আগে অবশ্যই ভাল করে শুকিয়ে নিন। ফ্রিজে খাবার থাকে, তাই ফ্রিজও কিন্তু পরিষ্কার করা খুব জরুরি। সপ্তাহে দু’বার অন্তত ফ্রিজের বরফ গলিয়ে নিন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
রান্না করার সময় নিজস্ব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও জরুরি। এর ফলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। খাবারে হাত দেওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। রান্না করার সময় সুতির পোশাক পরুন। আমাদের নখে প্রচুর ময়লা থাকে। তাই রান্না করার সময় নখ পরিষ্কার রাখা জরুরি। চুল আলগোছে করে রান্না করবেন না, চুল বেঁধে রান্না করুন।