নিয়মে থেকেই দূরে রাখুন হ্যাংওভার। ছবি: শাটারস্টক।
বছর শেষের মরসুম মানেই পার্টির হাতছানি। তবে পার্টিতে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ও অনিয়ন্ত্রিত ভাজাভুজি খেলে তার প্রভাব শরীরে পড়তে বাধ্য। চিকিৎসকদের মতে, শরীরকে সুস্থ রাখতে মদ্যপানে যেমন রাশ টানা উচিত, তেমনই পরের দিনের কাজ মাথায় রেখে হ্যাংওভার কাটাতে শেখাও জরুরি।
পার্টির সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচা যায়। ‘‘হ্যাংওভারের কিন্তু অন্যতম কারণ এই ডিহাইড্রেশন। অ্যালকোহলের মাত্রা অতিরিক্ত হলেই এই ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ফলে হ্যাংওভার কাটতে চায় না সহজে। পার্টির আনন্দ বাড়াতে বরং আস্থা রাখুন মকটেলে। একান্তই মদ্যপান করতে হলে তা কখনওই মাত্রা ছাড়াবেন না।’’— জানালেন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ভাস্করবিকাশ পাল।
‘‘মদ্যপান করলে অবশ্যই খেয়াল রাখুন হ্যাংওভারের বিষয়টিও। পরের দিনের যাবতীয় কাজ পণ্ড করতে না চাইলে ও শরীরকে অকারণে ব্যস্ত করতে না চাইলে মদ্যপানের দিন মেনে চলুন কিছু নিয়মকানুন।’’— মত পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহর। দেখে নিন কোন কোন নিয়ম মেনে চললে হ্যাংওভারের সমস্যায় পড়তে হবে না।
আরও পড়ুন: শীতে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? নামমাত্র খরচে ঘরোয়া উপায়েই সমাধান করুন
হ্যাংওভার কাটানোর প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত, পরিমিতিবোধ। কোনও ভাবেই অতিরিক্ত মদ্যপান নয়। কেবল হ্যাংওভারই নয়, মদ কিন্তু ওবেসিটি, লিভার ক্যানসারের মতো অসুখেরও কারণ। মদ্যপানের দিন সকাল থেকেই পর্যাপ্ত জল খেতে থাকুন। মদ শরীরের জল টেনে নেয়। ফলে শরীর শুকিয়ে যায়। জল খেতে থাকলে শরীরে জলের অভাব পড়বে না, ফলে হ্যাংওভারের সম্ভাবনা কমবে। খালিপেটে নয়, বরং মদ্যপান করলে ভরা পেটে করুন।মদ্যপানের সময়ও ভাজাভুজি এড়িয়ে উপযুক্ত অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন সঙ্গে। এতে অ্যালকোহলের পরিমাণ যেমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তেমনই মদ শরীরের পেশী ও স্নায়ুকেও অতিরিক্ত উত্তেজিত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: পার্টিতে মদ খাবেন? তা হলে এ সব খাবার ছুঁয়েও দেখবেন না
পার্টি সেরে চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত ঘুমের সময় হাতে নিয়ে ঘরে ফিরতে। পর্যাপ্ত ঘুমোলেহ্যাংওভার সহজে কাটে। পরের দিন সময়মতো ব্রেকফাস্ট করতেই হবে। পেট খালি থাকলেই ফের হ্যাংওভার ঘিরে ধরবে। নিয়ম মানার পরেও কোনও কারণে মাথা ধরা, গা বমি ভাব হতে থাকলে আদা ভেজানো জল খান মাঝে মাঝেই। হ্যআংওভার কাবু করতে পারবে না।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)