ওবেসিটি থেকেই ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ, হাড়ের সমস্যার মতো অসুখ জাঁকিয়ে বসার বেশি সুযোগ পাচ্ছে। ছবি: আইস্টক।
যখন তখন জাঙ্ক ফুড, কম ঘুম, মানসিক চাপ, এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা ইত্যাদি কারণে শরীরে বাসা বাঁধে মেদ। আর ওবেসিটি থেকেই ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ, হাড়ের সমস্যার মতো অসুখ জাঁকিয়ে বসার বেশি সুযোগ পাচ্ছে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে চিকিৎসকরা জোর দিয়ে থাকেন।
তাই শুধু শরীরচর্চা নয়, খেয়াল রাখতে হবে খাবার পাতেও। পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ডায়েট করলেই কেবল হবে না, প্রয়োজন বুদ্ধি করে এমন কিছু উপাদান ডায়টে রাখুন, যা ওজন কমাতে খুব কাজে আসে। তেমনই এক ফল শসা। এই ফলে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়ামের ভরপুর। এতে ক্যালোরির পরিমাণ যেমন সামান্য, তেমনই এতে জলের পরিমাণ বেশি। কয়েক গ্রাম ফাইবারও মেলে শসা থেকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে কর্মক্ষম রাখতেও ওস্তাদ শসা। নিয়মিত ডায়েটে শসা থাকলে রোগ প্রতিরোধ বাড়ে, ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এটা এমন একটা ফল, যা ডায়াবেটিকরাও অনায়াসে রাখতে পারেন তাঁদের ডায়েটে।
আরও পড়ুন: স্পন্ডিলাইটিস খুব ভোগাচ্ছে? ব্যায়ামে কব্জা করুন অসুখ
কাটা ফল টাটকা রাখতে চান অনেক ক্ষণ? সম্ভব, যদি এ ভাবে রাখেন
কেমন হবে এমন ডায়টে
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতিটা ভারী মিলের পরেই থাকুক শসা। সকাল বা বিকেলের টিফিনে শসার রায়তা, দই-শসা রাখতেও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সকালে ব্রেকফাস্টে শসা দিয়ে বানানো স্মুদিও খাওয়া যেতে পারে। তবে অনেকের ধারণা রয়েছে, তেল-মশলার খাবার বা ভাজাভুজির সঙ্গে শসা খেলে তেল-মশলার ক্ষতিটা শরীরে লাগে না। এমনটা একেবারে ঠিক ধারণা নয়। আর এক ডায়াটেশিয়ান রোহিনী সেনের মতে, ‘‘শসা তেল-মশলার খাবারের সঙ্গে খেলে হজম করতে সাহায্য করতে পারে মাত্র। কখনওই মেদ ঝরানোর উপকার এর থেকে তখন পাওয়া যায় না। তাই ফাস্ট ফুড বা ভাজাভুজির সঙ্গে শসা খাওয়া মানে খুব উপকার হল এমনটা ভাবা ভুল।’’
তাই ডায়েটে বেশি করে শসা রেখেই ওজন কমান দ্রুত।