খুদের বুদ্ধি বাড়বে খেলার ছলেই। ছবি: শাটারস্টক।
সব বাবা-মাই চান তাঁদের সন্তান মেধাবী ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হোক। এর জন্য কিন্তু বাবা-মাকে খানিকটা বাড়তি দায়িত্বও নিতে হবে। কেবল খুদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিলে চলবে না, তার মগজাস্ত্রেও শান দিতে হবে বইকি। সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়। এই বয়সে কিছু সাধারণ পন্থা অবলম্বন করলেই আপনার শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হতে পারে।
১) স্মার্টফোনের যুগে শিশুদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। এই প্রবণতা খুব খারাপ। বই পড়ার অভ্যাস কিন্তু স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ভীষণ জরুরি। পড়ার বই ছাড়াও গল্প ও ছড়ার বই পড়ার প্রতি খুদেকে উৎসাহী করে তুলুন। এই উপায়ে তাদের বুদ্ধির বিকাশ হবে।
২) সন্তানের সঙ্গে কথা বলার সময় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে পারেন। অনেক শিশুর মধ্যেই অঙ্গভঙ্গি নকল করার প্রবণতা থাকে। এই উপায়ে শিশুদের স্মৃতিশক্তি ভাল হয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
৩) নিজের ছেলেবেলার নানা ঘটনা খুদেদের সঙ্গে গল্পের মতো করে ভাগ করে নিন। তার পরে সেই সব গল্প থেকেই তাদের মজার মজার প্রশ্ন করুন। এতেও তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে। মেমরি গেম খেলাও শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে সহায়ক হতে পারে। এতে শিশুদের একাগ্রতা বাড়ে। এক দিন কোনও গল্প শুনিয়ে পরের দিন সেই গল্প থেকেই প্রশ্ন করে দেখুন, সে মনে রাখতে পারছে কি না।
৪) শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা করতে পারে গান। ছোটদের মনোযোগ বাড়াতেও গান শেখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা করাও ভাল। এতে বুদ্ধিও বাড়ে, মনও ভাল থাকে।
৫) অনলাইন গেম নয়, যে খেলায় মগজ খরচ করতে হয়, এমন খেলায় উৎসাহী করে তুলুন তাদের। দাবা, কার্ড গেমের মতো জিনিসে মনোযোগ বাড়বে, বুদ্ধিও তীক্ষ্ণ হবে।