দোসা মুচমুচে হবে ৫টি নিয়ম মেনে চললেই। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণী খাবারের প্রতি বাঙালির ভালই টান আছে। শহর জুড়ে দক্ষিণী রেস্তরাঁর ছড়াছড়ি। আর সেই সব দোকানের সামনে সকালের দিকে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। দক্ষিণের খাবারের মধ্যে বাঙালির পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে দোসা। দোসা নিয়ে এখন অবশ্য নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও রেস্তরাঁগুলি। চিজ় দোসা, সেজ়ুয়ান দোসা, পেরিপেরি দোসা— আরও কত কী! অনেকেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলেন দোসা। খেতে ভাল হলেও বাড়িতে তৈরি দোসায় দোকানের মতো মুচমুচে ভাব আসে না। জেনে নিন দোসা বানানোর আগে কোন ৫ টি কথা সব সময় মাথায় রেখে চলবেন।
১) দোসা কুড়মুড়ে না হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হল চাল, ডালের পরিমাণ বিগড়ে যাওয়া। বিউলির ডাল ও চাল সঠিক পরিমাণে নেওয়া না হলেই দোসার স্বাদ খারাপ হয়ে যায়। দোসা বানানোর সময় ৪ কাপ চালের সঙ্গে নিতে হবে ১ কাপ ডাল। চাল-ডাল মিক্সিতে ঘুরিয়ে ঘোল তৈরির সময়ে জলের মাত্রা বেশি পড়ে গেলেও মুশকিল।
২) চাল-ডালের মিশ্রণটি ভেজানোর সময় একটি বড় পাত্র বেছে নিন। ছোট পাত্রে চাল-ডাল ভেজাবেন না। চাল-ডাল যেন ভাল ভাবে জল টেনে নিতে পারে, সে দিকে নজর দিতে হবে।
৩) চাল-ডাল বাটার সঙ্গে সঙ্গে দোসা বানাতে শুরু করবেন না। মিশ্রণটিকে ঠিক মতো মজতে দিতে হবে। গরম থাকলে সূর্যের আলো সরাসরি আসে না এমন জায়গায় অন্তত ৬ ঘণ্টা রেখে দিতে পারেন দোসার মিশ্রণ। শীতের সময় মিশ্রণটি মজতে বেশি সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে দোসা বানানোর অন্তত ১২ থেক ১৫ ঘণ্টা মিশ্রণটি বেটে রাখতে হবে।
তাওয়া গরম না হলে কখনওই দোসা মুচমুচে হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) দোসার মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখবেন না যেন। ফ্রিজে রেখে দিলে দোসার মিশ্রণটি ভাল করে মজবে না। ফলে দোসায় দোকানের মতো টক ভাব আসবে না। ঘরের তাপমাত্রাতেই মিশ্রণটিকে মজতে দিন ভাল ভাবে।
৫) তাওয়া গরম না হলে কখনওই দোসা মুচমুচে হবে না। দোসা বানানোর সময়ে তাওয়াটি খুব ভাল করে গরম করে নিতে হবে। গরম তাওয়ায় খানিকটা ঠান্ডা জল ছিটিয়ে ভাল করে মুছে নিন। তার পর পরিমিত মিশ্রণ নিয়ে ভাল করে তাওয়ায় ছড়িয়ে নিতে হবে, খেয়াল রাখবেন যেন দোসাটি খুব পাতলা হয়।