কোন অঞ্চলে গাড়ি চালাচ্ছেন, সেই বুঝে গাড়িতে ইঞ্জিন অয়েল দেবেন। ছবি- সংগৃহীত
শীতকালে মানুষের যেমন আড়মোড়া ভেঙে মাটিতে পা দিতেই ঘণ্টাখানেক সময় লাগে, তেমন গাড়িরও শীতঘুম কাটতে সময় লাগে। যদিও আমাদের দেশে তেমন ঠান্ডা পড়ে না। কিন্তু গাড়ি নিয়ে ঠান্ডার জায়গায় বেড়াতে গেলে বা বরফ পড়ে এমন খোলা জায়গায় সারারাত গাড়ি থাকলে, সকালবেলা গাড়ি স্টার্ট দিতে সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই যদি রাস্তায় গাড়ি বিকল হয়ে যায়, মেরামত করার লোক সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাই গাড়ি নিয়ে কোথাও বেরিয়ে বিপদে পড়ার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
শীতকালে গাড়ি সচল রাখতে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) হিটিং ভেন্টিলেশন
যদিও আমাদের দেশে এমন ঠান্ডা পড়ে না, তবু গাড়ি নিয়ে যদি ঠান্ডার জায়গায় যেতেই হয়, তা হলে এসির মতোই গাড়ির ভিতর গরম রাখার যন্ত্রটি ঠিক আছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি।
২) কাচ পরিষ্কার করার যন্ত্র বা ওয়াইপার
বৃষ্টি হলে যেমন সামনের কাচ পরিষ্কার করতে ওয়াইপার যন্ত্রটি চালু করতে হয়, তেমনই তুষারপাতের পর গাড়ির কাচ বরফে ঢেকে গেলে ওয়াইপারের সাহায্যে তা পরিষ্কার করতে হয়। তাই শীতকালে গাড়ি নিয়ে বেরোনোর আগে তা ভাল করে দেখে নেওয়া জরুরি।
শীতের এই মরসুম গাড়ির ব্যাটারির জন্য একেবারেই অনুকূল নয়। ছবি- সংগৃহীত
৩) ইঞ্জিন অয়েল
কোন অঞ্চলে গাড়ি চালাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে গাড়িতে কোন সংস্থার ইঞ্জিন অয়েল দেবেন। সাধারণত যে কোনও সংস্থার গাড়িতে যে ধরনের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা হয়, তা ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রায় কাজ করতে পারে। কিন্তু অত্যধিক ঠান্ডার জায়গায় ওই তেলের ঘনত্ব বেশি হয়ে যায়। ফলে সারা রাত ঠান্ডায় থাকার পর, সকালে চাবি ঘোরালেও গাড়ি স্টার্ট নিতে চায় না।
৪) গাড়ির চাকা
কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম। এই সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে চাকার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। তার উপর রাস্তা খারাপ হলে টায়ারের দেওয়ালে ফাটল ধরা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই ফাটলগুলি এতটাই সূক্ষ্ম যে, খালি চোখে তা ধরা পড়ার নয়। কিন্তু এই চাকা নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে গেলে বিপদের আশঙ্কা একেবারে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
৫) ব্যাটারি
শীতের এই মরসুম গাড়ির ব্যাটারির জন্য একেবারেই অনুকূল নয়। সে আপনি ঠান্ডার জায়গায় গাড়ি নিয়ে যান বা বাড়ির নীচে ফেলে রাখুন। দু’ক্ষেত্রেই একই সমস্যা হতে পারে। অবশ্য একটানা কিছু দিন গাড়ি না চালালেও ব্যাটারি বসে যেতে পারে। তার উপর ইঞ্জিন অয়েল ঘন হয়ে গেলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তা হলে উপায়? গাড়ি নিয়ে না বেরোলেও প্রতি দিন চাবি ঘুরিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিন। অন্ততপক্ষে ১৫ মিনিট ওই অবস্থায় রেখে দিন। গাড়ি স্টার্ট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ির ব্যাটারি চার্জ নিতে শুরু করবে।